স্বাস্থ্য

রক্তস্বল্পতা দূর করে কচুশাক

By Daily Satkhira

August 30, 2017

কচুশাক আমাদের সবার কাছেই একটি অতি পরিচিত সবজি। কচুশাক কম পরিশ্রমে ও সহজে চাষ করা যায়। কচুগাছের পাতা, ডাটা, মুখী ও লতি সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। কচু শুধু পুষ্টিকর নয়, এর অনেক ঔষধী গুণও আছে। কচুশাকে ভিটামিন এ, ডি এবং প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেই কচুর গুনাগুন সম্পর্কে–

– রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে কচুরশাক ও সবুজ শাকসবজি। দেহে ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের ঘাটতি দূর করে রক্তস্বল্পতা থেকে পরিত্রাণ দেয় কচু শাক। বিশেষ করে কচুশাকএক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।

– আয়রনের চাহিদা পূরণ করেঃ কচুশাকে আছে নানা রকমের ভিটামিন যা গর্ভবর্তী মা ও শিশুর জন্ম ধারণের জন্য উপকারী। কচু দামেও বেশ সস্তা, তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচুশাক খেতে পারেন।

– রাতকানা প্রতিরোধ করেঃ কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ। ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য রাতকানা প্রতিরোধ করে আর ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচুর শাক খাওয়ানো উচিত।

– হজম শক্তির উন্নতি করেঃ কচুতে আছে প্রচুর ফাইবার, ফোলেট ও থায়ামিন যা মানব শরীরের জন্য অনেক দরকারি উপাদান। কচুর শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত কচুশাক খেলেও কোলন ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

– হাড় ও দাঁত গঠনেঃ কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। দাঁত ও হাড় গঠনে ও ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।