পরমাণু ইস্যুতে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে তখন জাপানের আকাশ সীমার উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাপানের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে গিয়ে সাগরে পড়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। এমনকি জাপানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করারও কোনো চেষ্টা চালানো হয়নি।
উত্তর কোরিয়া বলছে, জাপানের ওপর দিয়ে চালানো ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের সামরিক ঘাঁটিতে পরণামু হামলা চালানোর প্রথম ধাপ।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে জবাবও দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম। মঙ্গলবার জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের ওপর দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তেজনা কমাতে উত্তর কোরিয়ার দ্রুত, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। দেশটির এমন কার্যক্রম জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের জন্য হুমকি। তবে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
অপরদিকে, রাশিয়া এবং চীন বলছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও কয়েক মাস ধরেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এর আগে শুক্রবার এবং শনিবার উত্তর কোরিয়া তিনটি স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরীক্ষা চালানো হয়।
উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জঘন্য, নজিরবিহীন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় বড় হুমকি ও ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।