আন্তর্জাতিক

প্রতিদিন রাতে একজন যুবতীকে বাবা’র কাছে পাঠাতে হত

By Daily Satkhira

August 31, 2017

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাবা অবশেষে শ্রীঘরে। বিশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৪০ টাকা দৈনিক মজুরির কয়েদি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে নিরন্তর আলোচনার স্রোত কিন্তু বহমান। প্রতিদিনই বাবা রাম রহিমের কীর্তির নতুন নতুন অধ্যায় সামনে আসছে। এ বার মুখ খুললেন এম নারায়ণন, বাবার ধর্ষণ মামলার মুখ্য তদন্ত আধিকারিক।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “লোকটা বিকারগ্রস্ত, সত্যিকারের পশু!” রাম রহিমের হাবভাব যে একজন মধ্যযুগীয় রাজার মতো সে কথা উল্লেখ করে নারায়ণন জানান, প্রতিদিন রাত ১০টার সময়ে প্রধান সাধ্বীর কাছে বাবার ফোন আসত। সেই ফোনে তিনি নির্দেশ দিতেন, একজন যুবতীকে তার সঙ্গে শুতে পাঠাতে। পাশাপাশি তিনিও জানান, রাম রহিমের সংগ্রহে ছিল কন্ডোম ও গর্ভ নিরোধক পিলের বিপুল সংগ্রহ।

নারায়ণন জানান তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছিলেন, ১৯৯৯ থেকে ২০০২ এই সময়কালের মধ্যে ২০০ জন মহিলা ডেরা সচ্চা সৌদা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে। এদের মধ্যে মাত্র ১০ জনের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। যাদের মধ্যে ২ জনের বয়ান অনুসারে শেষমেশ রাম রহিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে সিবিআই।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রশংসা করে নারায়ণন জানান, কেমন করে তিনি সিবিআইকে সাহায্য করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার বাবা গুরমিত রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিতের বিরুদ্ধে তারই আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন শুক্রবারই।