অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেটে নিয়েছেন সাকিব, করেছেন ৫৯ রান। আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই উজ্জ্বল ছিলেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৭৮ রান। এ দুই ক্রিকেটারের অনবদ্য পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। পরের দিন ব্যক্তিগত পুরস্কারটাও পেয়েছেন সাকিব-তামিম। আইসিসি ঘোষিত র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার-সেরা অবস্থানে রয়েছেন তাঁরা।
মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংসে অসাধারণ ব্যাটিং করা তামিম ব্যাটসম্যানদের তালিকায় রয়েছেন ১৪তম অবস্থানে। ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১০ ধাপ উন্নতি হয়েছে টাইগার ওপেনারের। গত মাসে করা র্যাংকিংয়ে ২৪তম স্থানে ছিলেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে ক্যারিয়ার-সেরা ২০তম স্থানে ছিলেন তামিম। বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ এক শতক করায় তিন ধাপ এগিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার রয়েছেন ৬ নম্বর স্থানে। দল হারলেও অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ রয়েছেন এক নম্বরে। সেরা পাঁচের পরের নামগুলো হলো—জো রুট, কেইন উইলিয়ামসন, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলি।
ঢাকা টেস্টে অসাধারণ ব্যাটিং করায় র্যাংকিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১৭তম স্থানে রয়েছেন তিনি। আগের র্যাংকিংয়ে ২২তম স্থানে ছিলেন সাকিব। বাকি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ২৩তম স্থানে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মমিনুল হক রয়েছেন ৩৭তম স্থানে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৪, সৌম্য সরকার ৬০, ইমরুল কায়েস ৬৯ ও নাসির হোসেন রয়েছেন ৭৫তম অবস্থানে।
বোলিং র্যাংকিংয়েও দারুণ উন্নতি হয়েছে সাকিব আল হাসানের। চার ধাপ এগিয়ে টেস্ট বোলারদের মধ্যে ১৪তম স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে এটা সাকিবের ক্যারিয়ার-সেরা নয়। ২০১১ সালে বোলারদের তালিকায় সপ্তম স্থানে ছিলেন এই স্পিনার। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর বাংলাদেশের স্পিনারদের দারুণ উন্নতি হয়েছে। তিন ধাপ এগিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ রয়েছেন ৩০তম স্থানে। চার ধাপ এগিয়ে তাইজুল রয়েছে ৩২-এ। বোলারদের মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে রবীন্দ্র জাদেজা, জেমস অ্যান্ডারসন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রঙ্গনা হেরাথ ও জস হ্যাজেলউড।