ঋতুর পরিবর্তন সাথে সাথে তার প্রভাব শরীরের উপর পরে। অনেকই জ্বর-সর্দি-কাশি ইত্যাদি রোগে ভোগেন। শরীরটা বেশি কাবু হলে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে, চলে ওষুধপথ্য সেবন। তবে প্রাকৃতিক কিছু খাবারও কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ দেয়। চলুন জানা যাক, কোন কোন খাবারের কী গুণ-
১। পালং শাক- পালং শাকে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এর মধ্যে একটি অন্যতম উপাদন হলো ফলেট। এটি মানুষের শরীরে নতুন কোষ তৈরি ও ডিএনএ মেরামতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আঁশ ও ভিটামিন সি-এর মতো বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস পালং শাক।
২। আদা- অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস আদা। খাবারের ঝাঁজ বাড়াতে আদার তুলনা নেই। অনেকের তো আদা-চা ছাড়া কোন পানীয় মুখেই রোচে না। সর্দি-কাশি কমাতে আদার ঔষধি গুণ অপরিসীম। আর ফলমূল বা সবজি থেকে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কাজও করে তাড়াতাড়ি।
৩। চিকেন স্যুপ- চিকেন স্যুপ মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে কারনোসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের সংক্রমণ থেকে মানুষের শরীরকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখে।
৪। রসুন- রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় রসুন। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। শরীরের কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতেও কাজ করে এটি।
৫। দই- দুধ এবং দুধের তৈরি দইয়ে থাকা ‘ল্যাকটিক অ্যাসিড’ ব্যাকটেরিয়া, যা পেট বা অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ‘ইমিউন সিস্টেম’-কে আরো শক্তিশালী করে। তবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বা মিষ্টি দই না খেয়ে প্রকৃতিক উপায়ে তৈরি টক বা সাদা দই, মানে ঘরে পাতা দই খাওয়াই উত্তম। সূত্রঃ প্রিভেনশন।