আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আলাপ

By Daily Satkhira

September 01, 2017

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে টেলিফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে তিনি তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করেন। টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য তুরস্কের জনগণের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরদোয়ান এ যাবতকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুরস্ক কর্তৃক এতদ্বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রপতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন আলাপ ও বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি অত্যাচার ও দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাশে কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন, সীমিত সম্পদ ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্যান্য সব সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

তিনি অবিলম্বে সহিংসতা থেকে রক্ষার উদ্দেশে মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং তুরস্কের ভবিষ্যত সহায়তার অভিপ্রায়কে স্বাগত জানান।

আলোচনা শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে তিনি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় তুরস্কের সমর্থন ও তার টেলিফোন কলের জন্য পুনর্বার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।