আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিটি মুসলমান কোরবানি দিয়ে থাকেন। কমবেশি সবারই জানা পশু কোরবানি করার পর মোট মাংসের তিনটি ভাগ করে এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়।
কোরবানির আগে ও পরে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। কারণ কোরবানি যেমন নিয়ম মাফিক করতে হয় আবার কোরবানির পরে কোরবানির স্থান পরিস্কার করাও জরুরি। আসুন জেনে নেয়া যাক কোরবানির আগে ও পরে করণীয়-
কোরবানির আগে করণীয়
খাবার কোরবানির পশুকে আগের রাতে ১০টার পর থেকে কোনো প্রকার খাদ্য খাওয়ানো যাবে না। শুধুমাত্র পানি দেয়া যেতে পারে। তবে শীতকাল হলে পানি হালকা গরম করে নিতে হবে।
গোসল ও জবারেয় প্রস্তুতি কোরবানি কারার আগে পশুকে উত্তমরূপে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। কোরবানি করার মুহূর্তে তাকে শোয়ানোর জন্য পাটের তৈরি ২০ হাত রশি দিয়ে বেঁধে শোয়াতে হবে। জবেহ করার স্থানটিতে ঠিক গলার নিচে দেড় ফুট গভীর ও দেড় ফুট আড়ে ও লম্বায় একটি গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে পশুর রক্ত ঝরাতে হবে।এমনভাবে পশুকে রাখতে হবে, যাতে গর্তে সম্পূর্ণরূপে রক্ত ঝরে পড়ে।
জবায়ের পর জবেহ করার পর পশুকে টানাহেঁচড়া না করে উঁচু করে সরিয়ে জবেহ করার স্থান থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে চামড়া ছড়াতে হবে। চামড়া ছড়ানোর পদ্ধতি এবং যেসব অস্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে, তা অন্তত তিন দিন আগে প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
কোরবানির পরে করণীয় কোরবানির পরে যে বিষয়টির দিকে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো বর্জ্য পরিষ্কার করা। গরু জবায়ের পর বর্জ্য পরিষ্কার করা না হলে বিকট দুর্গন্ধ হয় যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে।
কোরবানির পরে অবশ্যই করণীয় বিষয়গুলো জেনে নেই-
১.কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরি। গরু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে। আর আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট (অর্ধহজমযুক্ত খাদ্য/গোঘাষি) বের করে যত্রতত্র ফেলে দিলে তা পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে।এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে। তাই যথাযথ স্থানে ফেলতে হবে।