সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের উদ্দ্যেশ্য মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি গুলি ছুড়ছে। এসব গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বসতবাড়িতে এসেও পড়ছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গোলাগুলিতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে এতে বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মিয়ানমারের হেলিকপ্টার তিন দফায় আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রতিবাদ জানানোর এক দিনের মাথায় সীমান্তে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি।
গুলিবর্ষণের পরপরই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
সূত্রের দাবি, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি জিরো পয়েন্টে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের উপর গুলি বর্ষণ করলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েক রাউন্ড গুলি পড়ে। এর মধ্যে তিন রাউন্ড গুলি তুমব্রুর পশ্চিমকুল ১নং ওয়ার্ডের আবদুল করিম সওদাগরের টিনের চাল ভেদ করে ঘরে পড়ে। গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয় বাজার ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু বাজারে গুলি এসে পড়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আমরা কয়েকটি গুলি উদ্ধার করে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জমা দিয়েছি।
ঘুমধুম এলাকার আবদুর রহিমও একই কথা জানান। বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান বলেন, স্থানীয়রা এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে আমাদের ক্যাম্পে দিয়ে গেছে। পরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর থেকে সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি কড়া অবস্থানে রয়েছে।