খেলা

প্রথম দিন সমান-সমান

By Daily Satkhira

September 04, 2017

শেষ বিকেলে সাব্বির রহমানের আউট শঙ্কা জাগিয়েছিল। শেষের ঝড়ে না আবার গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস। তবে মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন নিরাপদে বাকি দিন পার করে দিয়েছেন। সপ্তম উইকেটে অপরাজিত ৩১ রান যোগ করেছেন এ দুজন। ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৮২তম ওভারে নাথান লায়নের পঞ্চম শিকার হয়ে ফিরেছেন সাব্বির। সম্ভবত দিনের সবচেয়ে নির্বিষ বলে আউট হয়েছেন ৬৬ রানে। লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের একটি শর্ট বল হাঁকাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়েছেন। স্টাম্পিং করতে ভোলেননি ম্যাথু ওয়েড। তবে এর আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১০৫ রান যোগ করেছেন মুশফিক-সাব্বির। ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে দলকে বের করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির । সাব্বিরের ৬৬ রানের ইনিংসটিতে ৬টা চারের সঙ্গে ছিল একটি ছয়। মুশফিক তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন স্থিতধী ঢঙে। দেখে-শুনে ঠান্ডা মাথায় খেলছেন তিনি। মারার বলকে ‘শাস্তি’ দিচ্ছেন যথাযথভাবেই। ৬২ রানে অপরাজিত মুশফিক, নাসির আছেন ১৯ রানে।

তবে এর আগে সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের জুটিটিও (৩২) স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সাকিব ফিরে যান ২৪ রানে। এবার অবশ্য নাথান লায়ন নন, আঘাত হানলেন অ্যাশটন অ্যাগার। উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়েছেন ঢাকা টেস্টের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩৩ রানে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। বিরতির পর ৩১ রান করে আউট মুমিনুল হক। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে এই মুহূর্তে ‘আতঙ্ক’ অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার নাথান লায়ন। প্রথমে তামিমকে তুলে নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। ইমরুল ও সৌম্যর পর তুলে নিলেন মুমিনুলকেও। চার ব্যাটসম্যানকেই তিনি আউট করেছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের শুরুটা করেছেন এই লায়ন।

শুরুর বিপর্যয় সামলে সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হক খেলছিলেন ভালোই। ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রায় জমে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু নাথান লায়নের বলে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে এলবিডব্লু সৌম্য। তাঁর বিদায়ে ৩ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লায়নের বলেই প্রথমে ফেরেন তামিম ইকবাল, এরপর ইমরুল। দুজনই আউট হয়েছেন এলবির ফাঁদে পড়ে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সব সাফল্যই নিজের করে নিয়েছেন লায়ন।

দলীয় ১৩ রানের মাথায় লায়নের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর ২১ রানে ইমরুল। লায়নের বলে সুইপ করতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনেন ইমরুল। তাঁর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন প্রথমে নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার নাইজল লং। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

শুরু থেকেই তামিম ইকবালকে মোটেও স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল না। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের ওপর করা বলগুলোতে পরাস্ত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। একবার তো কামিন্সের বলে খোঁচা দিয়েও ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। স্লিপে দাঁড়িয়ে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হলো না বাংলাদেশের। তামিম আউট হয়েছেন ৯ রানে, ইমরুল ৪ রানে। এখন পর্যন্ত ৬ বোলার ব্যবহার করেছে অস্ট্রেলিয়া—প্যাট কামিন্সের সঙ্গে চার স্পিনার, নাথান লায়ন, স্টিভ ও’কিফ, অ্যাশটন অ্যাগার আর ম্যাক্সওয়েল। সঙ্গে হিলটন কার্টরাইট।

সূত্র : প্রথম আলো।