চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে লড়াইটা ভালোই হয়েছে সাব্বির রহমান ও নাথান লায়নের। দুজনই ছিলেন দুই দলের সেরা খেলোয়াড়। লায়নের ঘূর্ণিতে যখন বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা একের পর এক সাজঘরে ফিরছেন, তখন সেই লায়নের বলই দাপটের সঙ্গে খেলেছেন সাব্বির। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনেও লায়নের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো সাব্বিরের লড়াকু ব্যাটিংয়ের প্রশংসা। বাংলাদেশের তরুণ এই ব্যাটসম্যান লায়নকে নাকি মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলির কথা।
লায়নের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিনের শুরুতেই বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান জমা করতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে চারটি উইকেটই গিয়েছিল লায়নের ঝুলিতে। বেশ চাপের মুখে উইকেটে আসলেও সাব্বিরের ইতিবাচক ব্যাটিং কুড়িয়েছে ভূয়সী প্রশংসা। আগ্রাসী ব্যাটিং করে তিনিই উল্টো চাপের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন অসি বোলারদের। সাত নম্বরে নেমে সাব্বিরই খেলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম অর্ধশতকের ইনিংসটি। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে সাব্বিরের শতরানের জুটিটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে প্রথম দিনের লড়াইয়ের।
দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে তাই সাব্বিরের ভূয়সী প্রশংসাই করতে হয়েছে মাঠের প্রবল প্রতিপক্ষ লায়নকে। ঠিক যেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি এই স্পিনারের, ‘সাব্বির অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। ভালো শট খেলেছে। তার ব্যাটিং দেখে বিরাট কোহলির কথা মনে হচ্ছিল।’
৬৬ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটি খেলার পর সাব্বির সাজঘরেও ফিরেছেন লায়নেরই শিকার হয়ে। সাব্বিরকে আউট করেই লায়ন পেয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেটটি। দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে তাই সাব্বিরও অভিনন্দন জানিয়েছেন লায়নকে। আর কোহলির সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দেওয়াতে সাব্বিরের জবাব, ‘কোহলির মতো ব্যাটসম্যান আমি এখনো হতে পারিনি। কোহলি কোহলির মতো। আমি আমার মতো। কোহলির সঙ্গে তুলনার চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে আমি ভালো খেলতে চাই। দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।’
সাব্বির সত্যিই যেন সেটা পারেন, সেই প্রত্যাশাই থাকবে বাংলাদেশের সমর্থকদের। সাব্বির আর মুশফিকের ব্যাটে ভর করে আজ প্রথম দিনের খেলায় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৫৩ রান। সাব্বির আউট হয়েছিলেন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তারপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি টাইগারদের।