আশাশুনি

আশাশুনিতে ১১ মামলার পলাতক আসামির মামলায় জেল খাটছেন ছেলে-বুড়ো সবাই

By Daily Satkhira

September 05, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : তার ঘাড়ের ওপর ১১ টি নাশকতার মামলা। সাথে মন্দির ভাংচুরের মতো গুরুতর অপরাধের মতো মামলাও। পুলিশের খাতায় তিনি একজন পলাতক আসামি। আর এই পলাতক আসামিই শেষ পর্যন্ত তাক লাগানো বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন। খবরে প্রকাশ, পুলিশের খাতায় পলাতক সেই আসামি খলিলুর রহমান শেখ আশাশুনি থানায় যেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আর এই মামলায় জেলা খাটছেন ছেলে, বুড়ো, নারী, পুরুষসহ বেশ কয়েকজন। সাতক্ষীরার আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের এ ঘটনায় মামলার আসামীরা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সমর্থক পরিবারের সদস্য। অপরদিকে মামলার বাদি খলিল শেখ জামায়াত সমর্থিত। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেউলা গ্রামের অলোক অধিকারী কিছু জমি বিক্রি করেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজেদুর রহমান, মাজেদুর রহমান ও আব্দুল ওয়াজেদের কাছে। এই জমি তারা দখল করতে গেলেই শুরু হয় বিপত্তি। জমির মালিক অলোক অধিকারীর সাথে জমি নিয়ে আগে থেকেই গোলমাল ছিল খলিল শেখের। সম্প্রতি সাজেদ মাজেদ ওয়াজেদ তাদের কেনা জমিতে গেলে বাধা দেন খলিল শেখ। এ ব্যাপারে খলিল শেখ সাতক্ষীরার একটি আমলি আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত আশাশুনি থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তদন্ত দুরে থাক থানায় হাজির হন নাশকতাসহ ১১ মামলার আসামি খলিল শেখ। ওসি মামলাটি গ্রহন করেন এবং তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই বিশ্বজিতের ওপর । মামলার আসামিরা হলেন আবদুর রাজ্জাক (৭০) , তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম, তাদের ছেলে সাজেদ, মাজেদ ও ওয়াজেদ এবং দুই পুত্রবধূ সালমা খাতুন, নার্গিস বেগম , আদর অধিকারী ও অলোক অধিকারী। তারা জানান অলোক অধিকারীর ১০ কাঠা জমির ওপর মন্দির রয়েছে। তিনি সে জমি বিক্রি করেন নি। অথচ খলিল শেখ মন্দিরের সেই জমি জোর করে দখল করতে চায়। এ সংক্রান্ত মামলায় এখনও কয়েকজন জেলে আটক রয়েছেন। আর এই সুযোগে খলিল শেখ মন্দিরের ভেতরের মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন। তিনি মন্দিরে থাকা মুর্তিও ভাংচুর করেছেন বলে অভিযোগ। এরপরও পুলিশের খাতায় পলাতক ১১ মামলার আসামি খলিল রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর জেল খাটছেন বৃদ্ধ আবদুর রাজ্জাকসহ তার পরিবারের নারী পুরুষ সবাই।