শেখ তহিদুর রহমান : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপিসংসদ সদস্য সাতক্ষীরা মহিলা আ ‘লীগের সভানেত্রী মিসেস রিফাত আমিনের স্বামী রুহুল আমিন কন্ট্রাক্টার ইন্তেকাল করেছেন( ইন্নানিল্লাহে … রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মরহুম রুহুল আমিন স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। বেশ কিছুদিন যাবত তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার এক ছেলে কানাডা ও এক মেয়ে আমেরিকাতে থাকেন। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার ন্যাম ভবনের (এমপি হোস্টেল ) বাসায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকায় ন্যাম ভবনে স্ত্রী রিফাত আমিন এমপির সাথেই তিনি থাকতেন। সেখানেই বুধবার সকালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ন্যাম ভবনের সামনে বুধবার বেলা ৩ টায় জানাযার নামাজ শেষে তাকে ঢাকার বছিলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। ষাটের দশক থেকে টানা আশির দশক পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যতো কেন্দ্রীয় নেতা সাতক্ষীরাতে সফর করেছেন তাদের যাবতীয় আপ্যায়নের দায়িত্ব পালন করতেন রুহুল আমিন। সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সংগগ্ন বিশাল বাড়িতে এক সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মিলন মেলা বসত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাড়িটি রাজাকাররা জবরদখল করে নিয়েছিল।
মরহুম রুহুল আমিন একাধিকবার সাতক্ষীরার আশাশুনি(তৎকালীন) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে লড়েছিলেন। কিন্তু জয়লাভ করতে পারেননি। আশাশুনির কাটাখালি গ্রামে তার জম্ম। তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক বার সহ-সভাপতি ছিলেন এব একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারও ছিলেন।