জাপানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করে চীনকে উচিত শিক্ষা দিতে চায় ভারত। জিংপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যেতে জাপানের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন অরুণ জেটলি। দুই দিনের সফরে জাপান গিয়েছিলেন তিনি। সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় এই জাপানকে সামরিক শত্রু বলেই মনে করে বেইজিং। আর সেই জাপানের সঙ্গেই রয়েছে ভারতের ‘স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক গ্লোবাল পার্টনারশিপ’।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এ সফরে গিয়েছিলেন অরুণ জেটলি। এরপরেই তিনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দেবেন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের হাতে। জাপানে গিয়ে সেখানকার নৌঘাঁটি পরিদর্শন করেন জেটলি। এমনকি তিনি জাপানের P-1 এয়ারক্রাফটের ককপিটেও বসেন। আগামী বছর প্রথমবার ভারত ও জাপান সন্ত্রাস-বিরোধী সামরিক মহড়া করবে বলে জানা গেছে। আর সেই মহড়ায় অংশ নেবে জাপানের এই P-1 অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার এয়ারক্রাফট।
অন্যদিকে, চীনের নৌবাহিনীর উপর যৌথভাবে কড়া নজর রাখছে ভারত ও জাপান। কারণ, গত পাঁচ বছরে চীন তাদের নৌসেনায় একগুচ্ছ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন যুক্ত করেছে। ভারত মহাসাগরে চীনের বিস্তার নিয়ে চিন্তিত দুই দেশই। কারণ সেখানে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন রেখেছে চীন।
চীনের নৌবাহিনীকে চাপে রাখতে গত কয়েক বছরে ভারত, আমেরিকা ও জাপান একজোট হয়ে আরও বেশি নজরদারি চালাচ্ছে। এদিকে, জাপানের US-2 এয়ারক্রাফট ভারতে আসার বিষয়টি আরও খানিকটা এগিয়েছে। ১.৬ বিলিয়ন ডলারে ১৮টি US-2 এয়াক্রাফট কিনবে ভারত, যা আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নজরদারি চালাতে সাহায্য করবে।