সাতক্ষীরা

পাটকেলঘাটায় চোরাচালানের ৩ কেজি সোনা ছিনতাইকালে ২ পুলিশসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা

By daily satkhira

October 07, 2016

আসাদুজ্জামান : গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চোরাচালানের তিন কেজি সোনা ছিনতাই কালে স্থানীয় জনতা দুই পুলিশ সদস্যসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এসময় গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন এক সোনা চোরাচালানি । তারা সবাই এখন পাটকেলঘাটা থানায়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে তার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে পাটকেলঘাটার সেনেরগাতি বাজারে সোনাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান এ খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানার এএসআই মুরাদ দ্রুত সেনেরগাাতি যেয়ে জনরোষ থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন। এরা হলেন যশোরের কেশবপুরের ভাটপাড়া গ্রামের সুধীর চ্যাটার্জির ছেলে বিপ্লব চ্যটার্জি, ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম পল্টু ও তার সহযোগী কনস্টেবল মারুফ। তিনি জানান বিপ্লবের কাছে দুই পিস স্বর্ন ছিল বলে তাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে সে সোনা কোথায় তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি। সেনেরগাতির গ্রামবাসী জানান রাতে একটি মোটর সাইকেলে দ্রুতবেগে বাজারে আসেন তিন আরোহী। এদের একজন বিপ্লব চ্যাটার্জি ‘আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার দেন। বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে কোনো কিছু না বুঝেই গনপিটুৃনি শুরু করে দেয়। এ সময় তারা জানতে পারেন বিপ্লবের কাছে তিন কেজি চোরাচালানের স্বর্ণ রয়েছে। তবে সে স্বর্ণ কে বা কারা কিভাবে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তা তারা বলতে পারেননি। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে বিপ্লব তিন কেজি স্বর্ণ নিয়ে ভারতের দিকে যাবার পরিকল্পনায় খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে বাসে চড়েন। এ সময় এএসআই রবিউল ইসলাম পল্টু ও কনস্টেবল মারুফ নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাস থেকে নামান। পরে তাকে একটি মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে তারা চলে আসেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা অভিমুখে। স্বর্ণ ছিনতাই করে নেওয়ার লক্ষ্যে তারা তাকে সেনেরগাতি বাজারের দিকে নিয়ে আসেন। এ সময় বিপ্লব বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী তাদের ধরে তিনজনকেই গণপিটুনি দেয়। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এএসআই রবিউল পাটকেলঘাটার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় চাকুরি রত। ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন তিনি। তার বড় ভাই স্কুল শিক্ষক আবদুর রব পলাশ জানান, রবিউল ইসলাম ঢাকা থেকে সাক্ষি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর তিনি স্বর্ণের খবর জানতে পেরে বিপ্লবকে ধরে নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা সবাই গনরোষের সম্মুখীন হন বলে জানান তিনি। রাত ১০ টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় তাদেরকে পাটকেলঘাটা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।