ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। জানেন সকলেই। কিন্তু, সুখটানের আকর্ষণ এড়াতে পারেন না অনেকেই। তবে এবার বোধহয় সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল। এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ক্যানসারই নয়, দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি, সিগারেট খেলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও দৃষ্টিশক্তি আর ফেরানো যায় না। এ খবর প্রকাশ করেছি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
সাধারণভাবে স্কুল বা কলেজে পড়ানোর সময়ে নেহাতই কৌতুহলবশে কিংবা বন্ধুদের পাল্লার পড়ে ধূমপান করা শুরু করেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী। পরবর্তীকালে নেশার কবলে পড়ে যান তাঁরা। চেষ্টা করেও ধূমপানের নেশা আর ছাড়তে পারেন না অনেকেই। কিন্তু, নেশা যতই থাকুক না কেন, শরীরের কথা চিন্তা করে ধূমপান যে বর্জন করা উচিত, সেকথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিড়ি, সিগারেট খান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যের নেশা করেন, তাঁদের চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
এমনকী, ৫-১০ বছর বা তার বেশি ধরে যাঁরা ধূমপান করছেন বা তামাকজাত দ্রব্য চিবোচ্ছেন, তাঁদের চোখের স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্ধত্ব অস্বাভাবিক কিছু নয়। বস্তুত, সিগারেট, বিড়ি বা তামাকজাত দ্রব্য থেকে যে হৃদরোগ ও ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে, একথা তো সকলে জানেন। আর সেক্ষেত্রেও দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। জানা গিয়ে্ছে, এখনও পর্যন্ত দিল্লির এইমস হাসপাতালে যতজন দৃষ্টিশক্তিহীন রোগী এসেছেন, তাঁদের পাঁচ শতাংশ তামাকের কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পরিংসখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ দৃষ্টিহীন মানুষের বাস ভারতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছানির কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তাঁরা।