নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার উত্তর পারুলিয়া (গরু হাট) এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় উক্ত ঘটনা ঘটে। ভিক্টিমের পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উত্তর পারুলিয়া গরু হাট এলাকার মিজানুর রহমানের ১১ বছরের কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিন সকালে বাড়ির পার্শ্বে রানা নামের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে উক্ত ভিক্টিম প্রতিদিনের ন্যায় রানার বাড়িতে পড়তে যেয়ে রানা মাস্টারকে ঘুমাতে দেখে। মাস্টার ঘুমিয়ে থাকতে দেখে উক্ত স্কুল পড়–য়া ছাত্রী বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সে বাড়ি ফেরার পথে পুকুর পড়ে উপস্থিত হলে একই এলাকার মৃত বরকত আলী বিশ্বাসের পুত্র হাজী মনতাজ আলী বিশ্বাস (৭৫) তাকে হাটের ঘরের পার্শ্বে ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকলে উক্ত স্কুল ছাত্রী চিৎকার করলে মনতাজ দ্রুত পালিয়ে যায়। ঐদিন বিকালে উক্ত স্কুল ছাত্রী খেলতে গেলে পুনঃরায় মনতাজ তার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। এসময় উক্ত স্কুল ছাত্রী ভয়ে দৌঁড়ে বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনার কথা বলে। মা তার বাবা সহ অন্যান্যদের জানালে তারা অভিযুক্ত মনতাজ হাজীর ভাই ইন্তাজ মাস্টারকে জানাই। ইন্তাজ মাস্টার তাদেরকে উক্ত বিষয়ে সঠিক মিমংসা করার কথা বললেও কোন মিমাংসা না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মিজানুর দেবহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে ঐ রাতে ধরে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু উক্ত অভিযুক্ত মনতাজ আলী প্রভাবশালী ও বয়স্ক হওয়ায় শুক্রবার সন্ধায় স্থানীয়দের সুপারিশে দুই পক্ষকে ডেকে লিখিত মুসলেকা দিয়ে এই ধরনের অসামাজিক কাজ করবেনা মর্মে কাগজে স্বাক্ষর করে তার পরিবারের পক্ষ থানা থেকে নিয়ে চলে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে উক্ত মনতেজ আলীর এলাকায় এ ধরনের নোংরা কাজ করার অভিযোগ আছে।