ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি স্কুলের টয়লেটে সাত বছরের শিশুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের রেশ না কাটতেই মর্মান্তিক আরেকটি ঘটনা ঘটল পূর্ব দিল্লিতে। সেখানকার শাহদারা এলাকায় একটি শ্রেণিকক্ষে পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে স্কুলের পিয়ন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
শাহদারা পুলিশের উপকমিশনার নূপুর প্রাসাদ জানিয়েছেন, বিকাশ নামের ওই পিয়নকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিল্লির কাছাকাছি হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টয়লেট থেকে সাত বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, হত্যার আগে স্কুলবাসচালকের সহকারী ওই ছাত্রকে বলাৎকার করতে চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে ওই সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উত্তর দিল্লিতে নতুন ঘটনার সন্দেহভাজন ৪০ বছর বয়সী বিকাশ স্কুলটিতে তিন বছর ধরে পিয়নের কাজ করছেন। এর আগে তিনি একই স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, শিক্ষকদের কাছে দুপুরের খাবারের বক্স রেখে স্কুলের বারান্দায় ঘুরছিল মেয়েশিশুটি। সে সময় বিকাশ তাকে ফাঁকা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যান। এরপর ধর্ষণ করে মেয়েটিকে হুমকি দেন তিনি।
মেয়েটি বাড়িতে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ ও ব্যথা অনুভূত হওয়ার কথা জানায় মাকে। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষা করে তার ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।