শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে পরিবারের ১০জনকে চেতনাশক ঔষধ সেবন করিয়ে প্রেমিকের সাথে অজানারা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে এক মাদ্রাসার ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে শংকরকাটি বাজার সংলগ্ন দেওল গ্রামে হাজী আবুল কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাজী আবুল কাশেমের ছেলে জহুরুল ইসলামের কন্যা জুলেখা আক্তার আখি (১৫) খাবারের সাথে চেতনাশক ঔষধ মিশ্রত করলে উহা খেলে তাদের মেহমানসহ পরিবারের ১০ জন পর্যায় ক্রমে অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন হয়ে পড়েন- হাজী আবুল কাশেমের পুত্র জহুরুল ইসলাম (আখির পিতা),আব্দুল কাদের(৩৭),পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম(৩৫), সাইফুল ইসলাম বাচ্চু(২০),পৌত্র হোসাইন(৮), মহিলা সহ অপর ২ জন মেহমান। স্থানীয়রা রাতে তাদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ সুযোগে শংকরকাটি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জুলেখা আক্তার আখি বাড়ি থেকে চলে যায়। গুমানতলী গ্রামের দাউদ আলীর পুত্র মোহন আলীর সাথে আখির প্রেমজ সম্পর্ক থাকায় দু‘জনই নিখোঁজ রয়েছে। আখির পরিবার জানিয়েছেন মোহনই তার মেয়ে কে নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, কাশিমাড়ীর ধোনাই সরদারের পুত্র রাজগুলের মটর সাইকেলে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে দ্রুত চলে যেতে দেখেছে। এ ব্যাপারে কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) জাহাংগীর কবীর লাকী জানান, আমি এ ধরনের ঘটনা পথিমধ্যে জানার পরে জানতে পারলাম তারা সবাই শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শ্যামনগর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনিসুর রহমান জানান, এ রোগীদের অবস্থার উন্নতির দিকে রয়েছে।