আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দির সভাপতিসহ ৫জনকে পিটিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় কুল্যা বাঁকা সড়কের কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে মন্দির কমিটি এবং এলাকার সর্ব স্তরের জনগনের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জল ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও সংখ্যালঘু নির্যাচনের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সাংবাদিক অসিম বরুন চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা তরুণলীগ সভাপতি ওমর সাকী পলাশ, কুল্যা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ইয়াহিয়া ইকবাল, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, রফিকুল ইসলাম পান্না, মোঃ নজরুল ইসলাম, উত্তম কুমার দাশ প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন কুল্যা ইউনিয়ন একটি শান্তির নীড়, আর সেখানে প্রতিমা ভাংচুরের মত ঘটনা অতন্ত দুঃখজনক। ৬সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুরের প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তির দাবী জানান। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতির উজ্জল ঘোষ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবারের দুর্গা পূজা আমরা বর্জন করছি। উলেখ্য: গত ৬সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী ও কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি উজ্জল ঘোষসহ ৫জন আহত হয়। এজহারে উল্লেখ করা হয় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সকালে দেখতে পায় কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এব্যাপারে উজ্জল ঘোষের বাবা বাবুলাল ঘোষ বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৫, তাং ০৭(৯)১৭।