সাতক্ষীরার মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে । একজন সরকারি দলের নেতা হিসাবে হয়ত বা আমার প্রকাশ্যে এরকম লেখাটা যথার্থ নয়। কিন্তু সাধারণ জনগণকে নিয়েইতো আমাদের রাজনীতি। আমরা জানি , ২০১৮ সালের ডিসম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে যে সরকারে উপর ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সেটা গ্রামের বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে বোঝা যায় । সাতক্ষীরা শহরের প্রধান সড়কটি গত কয়েক বছর ধরে যে খারাপ অবস্থায় ছিল তা এবছর চরম বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সাতক্ষীরা পল্লীবিদুৎ এর খামখেয়ালিপনায় গত কয়েক দিনে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ভাদ্রের এই গরমে মানুষের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই। আর আছে পুলিশের চরম হয়রানি, গ্রেপ্তার বাণিজ্য। প্রতিবাদ করার মত সাহসী নেতা সাতক্ষীরায় নেই বলে মনে হয়। এসকল বিষয়গুলো নিয়ে সাতক্ষীরার সাধারণ জনগনণর মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। অথচ বিগত কয়েক বছরে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের এক অসামান্য মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছেন। তার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের এত অগ্রগতি আর কেউই করতে পারেননি। দেশের অর্থনীতি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার মধ্যে এক অনন্য উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। কিন্তু, আমার সাতক্ষীরাার মানুষের কাছে জবাব দিতে পারছিনা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ আর পুলিশি হয়রানির কারণে। সুতারাং এখুনি এই সকল বিষায়ের সুস্থ সমাধান না করতে পারলে আগামীতে ভোট চাইতে গেল ভোটের পরিবর্তে আমাদের সাধারণ ভোটারদের গালাগালি শুনতে হবে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা।