খেলা

পাকিস্তানের জয়ে শুরু; তামিমের ১৮ রান

By Daily Satkhira

September 13, 2017

স্পোর্টস ডেস্ক : টসের সময় বিশ্ব একাদশ অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি বললেন, “এটি শুধু একটি ক্রিকেট সিরিজ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু।” প্রতিযোগিতামূলক ‌ম্যাচ বটে, আছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা। তবে যেখানে প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি মিশে আছে সৌহার্দ্য। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ। পাকিস্তানের জন্য আয়োজিত সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতল পাকিস্তানই।

আন্তজাতিক ক্রিকেটে নির্বাসন থেকে মুক্তির জন্য আয়োজিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের নাম আয়োজকরা নিয়েছে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ’। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে বিশ্ব একাদশকে পাকিস্তান হারিয়েছে ২০ রানে। এগিয়ে গেছে তিন ম্যাচ সিরিজে।

২০ ওভারে পাকিস্তানের ১৯৭ রান তাড়ায় বিশ্ব একাদশ তুলতে পারে ১৭৭ রান।

বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তামিম ইকবাল শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৮ বলে ১৮ রানে।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বিশ্ব একাদশ। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানালেন, তাদের চাওয়াও ছিল আগে ব্যাটিং। কেন আগে ব্যাটিং চেয়েছিলেন, সেটির প্রমাণ মিলল ব্যাটিংয়ে নামার পর।

দুই চার মারার পরই ওপেনার ফখর জামানকে ফেরান মর্নে মর্কেল। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও আহমেদ শেহজাদ পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন বড় স্কোরের পথে। দুজনে গড়েন ১২২ রানের জুটি।

তিনে নামা বাবর তুলোধুনো করেছেন বিশ্ব একাদশের বোলারদের। শেহজাদ দিয়ে গেছেন সঙ্গ। ৩৪ বলে ৩৯ করা শেহজাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার বেন কাটিং।

বাবর এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে নিজের শেষ ওভারে তাকে ফেরান ইমরান তাহির। ১০ চার ও ২ ছক্কায় বাবর করেন ৫২ বলে ৮৬ রান।

জোড়া উইকেটে রানরেট কমেছিল একটু। কিন্তু শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ২০ বলে ৩৮ আর ইমাদ ওয়াসিমের ৪ বলে ১৫ রান পাকিস্তানকে নিয়ে যায় দুইশর কাছে।

বিশ্ব একাদশের থিসারা পেরেরা ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে রান দেন ৫১। খরুচে ছিলেন বাকিরাও।

বড় রান তাড়ায় প্রথম ৫ ওভারে উইকেট হারায়নি বিশ্ব একাদশ। তামিম একটু সময় নেন শুরুতে। হাশিম আমলা খেলছিলেন জাদুকরী সব শট। জুটি যখন বড় কিছুর পথে, ফেরেন তখন দুজনই।

দুজনকেই একই ওভারে ফেরান রুম্মান রাইস। বাঁহাতি পেসারকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড তামিম। ১৭ বলে ২৬ করে স্লোয়ারে বোল্ড আমলা।

তিনে নেমে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার টিম পেইন ২৫ রান করতে খেলে ফেলেন ২৫ বল। ব্যর্থ ডেভিড মিলারও। প্রয়োজনীয় রান রেট তখন ক্রমে বাড়ছে। অধিনায়ক দু প্লেসি ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ফিরে যান ১৮ বলে ২৯ করে।

শেষ দিকে পেরেরার ১১ বলে ১৭ এবং ৩ ছক্কায় ড্যারেন স্যামির ১৬ বলে ২৯ রানে কমে ব্যবধান। তবে ম্যাচে জয়-পরাজয়ের উত্তেজনা শেষ আরও আগেই।

সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ বুধ ও শুক্রবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৯৭/৫(ফখর ৮, শেহজাদ ৩৯, বাবর ৮৬, মালিক ৩৮, সরফরাজ ৪, ইমাদ ১৫*, আশরাফ ০*; মর্কেল ১/৩২, থিসারা ২/৫১, কাটিং ১/৩৮, তাহির ১/৩৪, এলিয়ট ০/১৭, স্যামি ০/২৪)।

বিশ্ব একাদশ: (তামিম ১৮, আমলা ২৬, পেইন ২৫, দু প্লেসি ২৯, মিলার ৯, এলিয়ট ১৪, থিসারা ১৭, স্যামি ২৯*, কাটিং ০*; ইমাদ ০/২২, সোহেল ২/২৮, হাসান ০/৪৪, রাইস ২/৩৭, আশরাফ ০/৭, শাদাব ২/৩৩)।

ফল: পাকিস্তান ২০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম