বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ৫নং বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের নামীয় দীর্ঘ দিনের বেদখলীয় জায়গা পরিষদ কর্তৃক দখলের লক্ষ্যে সার্ভে কার্যক্রম শেষে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে দুপুর ২.৩০ টা পর্যন্ত উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সার্ভে কার্যক্রম চলাকালিন সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যন আঃ আলিম মোল্ল্যা, আশাশুনি উপজেলা সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলাম, বড়দল ইউনিয়ন ভূমি তহসিলদার রঞ্জিত কুমার মন্ডল, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সুরঞ্জন ঢালী, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন গাইন, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি আঃ হান্নান, ইউপি সদস্য আঃ কাদের, মফিজুল ইসলাম, আঃ রশিদ গাজী, নীলকন্ঠ গাইন, মাসুদ সানা, দেব্রত মন্ডল, দিলীপ সানা, যুবলীগ নেতা বি,এম আলাউদ্দীন, অলক কুমার সরকার, সাতক্ষীরা জেলা দফাদার কমিটির সভাপতি মোস্তাজুল সরদার, ইউনিয়নের সকল গ্রাম পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য ২৯/০৯/১৯৬৪ সালে তদানিন্তন চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন সরদার (মকবুল), গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য মৃত আমিন উদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবির নিকট থেকে চাম্পাখালি মৌজাধিন (সাবেক ২১৯ নং) হাল ৪২৫ নং খতিয়ানে, (সাবেক ৭০/৭২১) হাল ৬৩৮ দাগে কোবলা রেজিঃ করে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, এখান থেকে ৭/৮ বছর পূর্বে আয়ফুল বিবির দ্বিতীয় পুত্র খানজাহান আলী ও তার বোন মর্জিনা খাতুন কৌশলে মোটা অর্থের বিনিময়ে ছামাদ সরদার, হারুন সরদার ও মিজানুর সরদার এর নিকট পজেশন হস্তান্তর করে এবং সেখানে তারা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কিন্তু রহস্য জনক কারনে ইতি পূর্বের চেয়ারম্যান মহোদয়রা নিরব ছিলেন, এ নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা না থাকার কারণ সাধারন জনগনের বোধগম্য নয়। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যার দুরদর্শি মনভাব ও জোর তৎপরতায় গত ১১/০৮/২০১৬ প্রথম দফায় শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশি বৈঠকে বিবাদী গন সময় প্রার্থনা করেন। গত ১৮/০৮/২০১৬ দ্বিতীয় দফায় শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বিবাদী গন উক্ত তফসীল বর্ণিত সম্পত্তী ইউনিয়ন পরিষদের নামে, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত ভাবে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে বিবাদী গনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্লেখিত উক্ত তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি মাঠ জরিপে ৪২৫ নং খতিয়ানে হাল দাগ ৬৩৮, দাখিলা ও চেক ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের নামে পরিশোধ করা বলে চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্ল্যা জানান।