খুলনা

পাইকগাছায় এক মাসেও প্রতিমা ঢালী ওরফে খাদিজার মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হয়নি

By daily satkhira

October 08, 2016

বাবুল আক্তার : পাইকগাছার প্রতিমা ঢালী ওরফে খাদিজা মৃত্যুর এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে কথিত স্বামী মহিতোষকে দায়ী করলেও এলাকাবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিমার পিতা ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার দারুণমল্লিক গ্রামের খাদিজা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ ৭ সেপ্টেম্বর নিজ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়। ইতোপূর্বে প্রতিমা ঢালী এফিডেভিটের মাধ্যমে খাদিজা নামে সাতক্ষীরার খলিলের সহিত বিবাহ হয়। সেখানে সে প্রায় দেড় বছর সংসার করে বলে স্বামী খলিল ও এলাকার একাধিক সূত্রে জানা যায়। তাদের নিয়ে দেলুটী ইউপিতে শালিস হয় বলে ইউপি পরিষদ সদস্যরা জানিয়েছেন। মুসলিম থেকে নিজ ধর্মে ফিরেছে কিনা তাও কেউ বলতে পারেনি। এ ঘটনার কিছু দিন পর নোয়াই গ্রামের কাদের গাজীর পুত্র খোকন এর সহিত বারোআড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে আটক হয়। সেখান থেকে প্রতিমার মামা তাদের ছাড়িয়ে আনে। খোকনের সহিত প্রতিমার বিবাহ হয়েছিল কিনা তাও কেউ বলতে পারিনি। এদিকে প্রতিমার মা উষা রানী ঢালী বলেন, মহিতোষের পিতা অরবিন্দুর সাথে আমাদের ধর্ম আত্মীয়তা পাতানো ছিল কয়েক বছর পূর্বে। সেখান থেকে আমি ও আমার মেয়ে প্রতিমা তাদের ওখানে যাতায়াত করি। মহিতোষ আমার কন্যাকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ করেছে কিন্তু কখনও শাখা সিদুর পরায়নি। দিনের বেলায় সে কখনও আমার বাড়ী আসেনি। মাঝে মধ্যে রাতে আসতো এবং রাত শেষ হওয়ার আগেই চলে যেত। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ টায় মহিতোষকে সাথে নিয়ে আমার কন্যা বাড়ীতে আসে। সকালে আমি শাড়ী বিক্রি করতে যাই। ফিরে এসে তালাবদ্ধ ঘরে প্রতিমার ঝুলন্ত লাশ দেখি। এ সময় মহিতোষের খোজ খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মহিতোষের গ্রাম দক্ষিণ কাইনমুখীতে তাদের বিয়ের ঘটনা কেউই বলতে পারিনি। প্রতিমার পিতা দীর্ঘদিন ছোট স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় থাকে। এ ঘটনায় সে বাড়ী এসে মহিতোষ সহ ৭ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ আজও তার মৃত্যু কাহিনী উদঘাটন করতে পারেনি। তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই গৌতম জানায়, মৃত্যুর কাহিনী উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সম্ভব হবে।