কালিগঞ্জ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ: কালিগঞ্জে আছানুর আটক

By Daily Satkhira

September 16, 2017

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রাম রহিমপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ায় ধর্ষক কলেজ ছাত্র আছানুরকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজার গ্রাম রহিমপুর এলাকার মোঃ বাবর আলী গাজীর কন্যা ও রোকোয়া মনসুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সাথে কালিগঞ্জ কেন্দ্রীয় দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী (অবঃ) ইব্রাহিমের পুত্র আছানুর রহমান (২২)এর সাথে দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। এই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে লম্পট আছানুর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ ধর্ষণ করে আসছিল। এমনকি লম্পট আছানুর ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে তাছলিমাকে ঢাকায় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে, বিয়ে না করে ২ বছর যাবৎ তার সাথে সংসার করে আসছিল। এদিকে ভিকটিমের অভিভাবক জানত সংসারে অভাবের জন্য ও পড়ালেখার খরচ চালাতে সে ঢাকাতে একটি পোশাক কোম্পানিতে কাজ করছে। ঢাকাতে অবস্থান রত অবস্থায় ভিকটিম আছানুরকে বার বার বিয়ের তাগিদ দিলেও লম্পট আছানুর কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যেত। অবশেষে ভিকটিম বুঝতে পারে লম্পট আছানুর তাকে বিয়ে করবে না। সে জন্য মনের কষ্ট বুকে চেপে রেখে গ্রামে বাবা মায়ের কাছে ফিরে আসে। কিন্তু তারপরও ভিকটিমের পিছু ছাড়েনি আছানুর। ভিকটিম গ্রামে ফিরে আসার কিছু দিন পর আছানুর গ্রামে ফিরে এসে আবার ও তাকে ফুসলাতে থাকে।এক পর্যায়ে তাকে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের স্ত্রী পরিচয়ে লম্পট আছানুর তার দূরসম্পর্কের আত্বীয় উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের বাহাউদ্দিন কারিগরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে মৌতলা বাজারে এসে পৌছালে বিয়ে নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী দুজনের মধ্যে ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে মেয়েটি সব কিছু তাদের কাছে খুলে বলে। এসময় ভিকটিম আছানুরকে বিয়ের জোর দাবি জানায়, অবশেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক হোসেন থানায় খবর দিলে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক প্রকাশ ঘোষ তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপর কলেজ ছাত্রী ভিকটিমের পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে তার পিতা মোঃ বাবর আলী গাজী বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে (মামলা নংÑ১২)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক বলেন বাদির মামলার ভিত্তিতে ধর্ষক আছানুরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।