নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে আটক ও পরে মৃত নিউ জেএমবি সদস্যের নাম নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দুরীকরনে সাতক্ষীরা পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার রাতভর সাতক্ষীরার সীমান্ত গ্র্রাম কুশখালিতে যেয়ে পুলিশ বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেয়। এর আগে পুলিশের কাছে পৌঁছানো এক বার্তায় বলা হয় আশুলিয়ায় নিহত অর্থদাতা জঙ্গির নাম আবদুর রহমান। তার পিতার নাম আবদুল্লাহ। তার বাড়ি কুশখালি গ্রামে। পুলিশ সেই ‘আবদুর রহমান’ বাড়ি খুঁজে পেতে তৎপর হয়ে ওঠে। তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান কুশখালির ভ্যানচালক আবদুল্লাহর ছেলের নাম রাকিবুল ইসলাম (২৪)। আবদুর রহমান নামে তার কোনো ছেলে নেই। নিজ গ্রামের মক্তবে লেখাপড়া করে ভ্যান চালাতো রাকিবুল। বিএনপি সমর্থক পরিবারটির সদস্য রাকিবুল হেফাযতে ইসলামে যোগ দেয়। সে এলাকায় খানিকটা দুর্ধর্ষ বলে পরিচিত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারির ঘটনাবলীর পর একাধিক নাশকতার মামলা হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। বাড়ির সাথে তার যোগাযোগ কম। রাকিবুলের বাবা আবদুল্লাহ জানান তিনি একজন ভ্যান চালক। তিনি ভারতীয় গরুর রাখালও। তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম চট্টগ্রামে একটি লবন কারখানায় চাকুরি করে। আজ রোববার সকালেও তার সাথে তার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাকিবুল একা ভাই। তার মার নাম মর্জিনা খাতুন। দুই বোন হাসনুয়ারা ও রউফুনারা। আবদুর রহমান নামের কোনো ছেলে তার নেই বলে জানান আবদুল্লাহ। রাকিবুল অবিবাহিত বলেও জানান তিনি। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা বলেন, তার পিতার নাম গ্রাম সবই ঠিক আছে। শুধু নামেই সমস্যা। আমাদের ধারনা নিহত আব্দুর রহমানই সাতক্ষীরার রাকিব। উল্লেখ্য: শনিবার রর্যাব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানান, ‘আব্দুর রহমানের বাবার নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালি। সে আশুলিয়ার বাসায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর নাম রুবি। সেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই আব্দুর রহমান আর এক বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর গর্ভজাত এক মেয়ে রয়েছে। রুবির দুই শিশু ছেলে, আগের স্ত্রীর গর্ভজাত মেয়ে ও রুবিকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।’ র্যাব সূত্র জানায়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে তাদের ধারণা। নব্য জেএমবির হয়ে সে মূলত ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে বিস্তারিত তথ্য জানা যেত। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সে মজুদ রাখা ৩০ লাখ টাকাও জঙ্গিদের মধ্যে বিতরণ করতো। এর আগে সে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বলে র্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে।