মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শনিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মুরসির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া ওই রায় বহাল রাখেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন। ২০১৩ সালে মুরসির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই রায়ে তাঁর আরো ছয় সঙ্গীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে তিনজন সাংবাদিক, দুজন সরকারি আমলা ও একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। এঁরা কাতারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি হস্তান্তরে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এরপর মুরসি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখলেন উচ্চ আদালতও।
মিশরের সেনাশাসক হোসনি মোবারক ২০১১ সালে আরব বসন্তে গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর ২০১২ সালে জনগণের ভোটে মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ মুরসি।
দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের এই নেতা তাঁর মেয়াদের এক বছরের মাথায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন এবং ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।