দেবহাটা

নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন

By Daily Satkhira

September 18, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেবহাটা উপজেলার নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসমাইল গাজি। তিনি বলেন মুিজবর রহমান আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। আমার জমিতে আমার ছেলের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি আমার পুত্রবধূর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে থেকে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করছেন। রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ইসমাইল গাজি। তিনি বলেন সেই স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকে আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক। ২০১৩ সালে জামায়াতের সহিংসতার সময় ইসমাইলের ছেলে মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আলমগীর হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেও পরে তাকে রায়হান হত্যার সাথে জড়িয়ে দেয় পুলিশ। তাকে ছাড়াতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবর রহমানের কাছে গেলে তিনি আশ্বাস দিয়েও তা রক্ষা করেননি। পরে এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুজিবর রহমান জেলে আটক থাকা ছেলে মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অনেক হইচই হলেও তিনি এর থেকে ফেরেন নি। বরং তিনি ইসমাইলের সম্পত্তি ভাগ করে ছেলে মনিরুলের জন্য বসত ভিটার সামনে ঘর তৈরি শুরু করতে সাহায্য করেন। এতে বাধা দিলে ইসমাইলের ১০৮ বছর বয়সী মা কাঙ্গালি বিবিকে চেয়ারম্যান মুজিবরের উসকানিতে ছেলে মনিরুল ও তার স্ত্রী রাবেয়া মারধর করে। এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য ফের চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও ছেলে মনিরুলকে ঘর তৈরির টিন দেন। এতে বাধা দিতে গেলে আবারও মারপিটের শিকার হতে হয়। ইসমাইল আরও জানান এ ঘটনায় আহত হওয়ায় তারা সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে দেবহাটা থানা কোনো মামলা নিতে চায়নি। পরে মামলাটি আদালতে করা হয়। এদিকে এই মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান ও তার ছেলে মোমিন। ইসমাইল গাজি আরও জানান চেয়ারম্যানপুত্র মোমিন তাকে গাজিরহাট বাজারে মারপিট করে। শুধু তাই নয় ছেলে মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়াকে দিয়ে শ্বশুর ইসমাইলের বিরুদ্ধে একটি কল্পিত ধর্ষণ মামলা করান চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। এ মামলায় ইসমাইলকে কয়েকদিন ধরে জেলও খাটতে হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। ইসমাইল গাজি বলেন মুজিবর রহমান অনৈতিকতার চরমসীমায় পৌছে গেছেন। তিনি এখনও ইসমাইলের পাশের বাড়িতে রাতে এসে ছেলে মনিরুলের স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে পৃথকঘরে বসে ফিস ফিস করেন। বৃদ্ধ ইসমাইল গাজি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এর প্রতিকার দাবি করেন।