কালিগঞ্জ ব্যুরো : “বালিকা বধূ নয়, ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বড় শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নবযাত্রা প্রকল্পের সহযোগিতায় ও সুশীলনের বাস্তবায়নে বাল্য বিয়ের কুফল ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল চেয়ারম্যান নিরঞ্জন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাড়াশিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান। নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার অর্গানাইজার বন্দনা মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, ইউপি সদস্য রেজাউল, শামছুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনোয়ারা খাতুন, ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার মাওঃ রুহুল আমিন, ভাড়াশিমলা জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মাদ আলী, পুরোহিত রমেশ চন্দ্র, কলেজ ছাত্র আবু মুছা মোহাজার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী ইরিনা সুলতানা ইতি, রায়হানা ইসলাম, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জেন্ডার অর্গানাইজার আল-আমিন। অপর দিকে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ১১টায় বাল্য বিবাহ নির্মূলে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, মুন্সী মশিউর রহমান পলাশ, রাজিয়া সুলতানা, হামিদা খাতুন, মাহফুজা খাতুন, কাজী হাফিজ উদ্দিন বাবু, নজরুল ইসলাম, ফেরদাউস মোড়ল, রবিউল আলম, মির্জা ছাদেক আলী, স্বর্ণ কিশোরী ক্লাবের সভানেত্রী নাজনীন মেহেদী দোলা, নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার অর্গানাইজার মুন্সী হারুনার রশীদ, নার্গিস সুলতানা প্রমুখ। এসময় বক্তারা বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, বাল্য বিয়ের কারণে পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়, পুষ্টিহীনতার শিকার হয় মা ও শিশু। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শুধু সচেতন হলে চলবে না, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই দেশ থেকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করা সম্ভব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।