মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাকজমকপুর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ- দৌল্লা সাগর, জ্যোৎন্সা আরা, শাহিনুর রহমান শাহিন, সৈয়দ মাহমুদ পাপা, ফারহা দিবা খান সাথী, শেখ আব্দুস সেলিম, অনিমা রাণী মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলার দোকানদারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মেলা উপলক্ষ্যে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহরি পণ্যের স্টল। এছাড়া পলাশপোল স্কুলের আশপাশে লৌহজাতদ্রব্য, বাঁশ ও বেতের দোকান, পলাশপোল স্কুল হতে খুলনা রোডের মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে নার্সারী দোকান, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাগরদোলা ও রেলগাড়ি, নৌকা, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দোকান। তবে মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারী, র্যাফেল ড্র, লাকিকূপন, ফড়, চরকি, নগ্ন নৃত্য এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে ১ মাস ব্যাপি। মেলার পরিবেশ ভাল থাকলে মেলার সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। তবে, এবারের মেলায়ও থাকছে না সার্কাসের আয়োজন। মেলায় আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দানে তৎপর রয়েছে। চাঁদাবাজি ও জুঁয়া বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। গোটা সাতক্ষীরা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন সার্কাস প্যান্ডেলে এবং সাতক্ষীরার রকসি সিনেমা হলে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। এরপর থেকে মেলা হারিয়ে ফেলে তার ঐতিহ্য।