কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে বখাটের খপ্পরে পড়ে প্রতিবন্ধী তরুণী অন্তঃসত্ত্বা!

By Daily Satkhira

September 19, 2017

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নামাজগড় গ্রামে এক বখাটের লালসার শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবতী। সে নামাজগড় গ্রামের মোকছেদ গাজীর মেয়ে। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির পরিবার জানায় দীর্ঘ ১মাস ধরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাছাড়া আকস্মিক তার গর্ভের আকৃতি বড় হতে দেখে তাদের সন্দেহ হয় এজন্য ডাক্তারের পরামর্শে তারা মেয়েকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার বলেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এই কথা শোনার সাথে সাথেই তার পরিবারের সদস্যদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপর তাদের মেয়ের কাছে জানতে চাইলে প্রকাশ করে ঘটনার মুল নায়কের নাম। সে আর কেউ নয় পার্শ্ববর্তী বাড়ীর নুর আলী গাজীর ছেলে ছালাম গাজী (২৮) এই ঘটনার মুল নায়ক। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি এই প্রতিবেদককে বলেন কয়েক মাস আগে বোনের বাড়ি থেকে রাতে একা আসার সময় মুখ চেপে ধরে ছালাম তাদের বাড়ির পাশে একটি বাঁশ বাগানের মধ্যে জোর করে ধরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানায় এজন্য বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর মেয়েটি কাউকে কিছু না জানালেও ৫মাস পরে এসে ধর্ষনের কারনে অন্তঃসত্তার বিষয়টি সকলের সামনে চলে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম বলেন বিষয়টি মেয়ের ভাই নজরুল আমাকে জানালে আমি মেয়ের কাছে শুনলে সে ধর্ষনের বিষয়টি আমাকে খুলে বলে এবং ঘটনার সাথে জড়িত বখাটে ছালামের নাম বলে। বর্তমানে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি বিচারাধীন আছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি জানার জন্য চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ০১৭১১-২৫১১১১ ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক বলেন এ বিষয় আমি অবগত নই। কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শ্যামনগরে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি নির্বাচন সভাপতি জাবের সম্পাদক সাত্তার শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এ সময়ের মধ্যে ১১৩ জন ভোটারের মধ্যে ১০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ৯ জন ভোটার ভোট দান থেকে বিরত থাকে। ৭ টি পদের জন্য মোট ১৪ জন প্রার্থী স্ব স্ব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার মধ্যে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক ২ জন, কোষাধাক্ষ ২ জন, সাংগাঠনিক সম্পাদক ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রচার সম্পাদক পদে নুর মোহাম্মদ ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোতালেব হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। অপরদিকে তীব্র লড়াই শেষে ভোট গননার পরে শেখ জাবের হোসেন (হরিণ) ৩৪ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে, স ম আব্দুস সাত্তার (তালা) ৭১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক, আল ইমরান (মটর সাইকেল) ৫৩ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এবং শামসুদ্দোহা টুটুল (দেয়াল ঘড়ি) ৬১ ভোট পেয়ে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি পদে আসাদুল্যাহ বাহার (ছাতা) ৩২, আব্দুর রশিদ (আনারস) ২৬, শফিকুল ইসলাম (দোয়াত কলম) ১২, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোল্যা (ফুটবল) ৩৩, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আক্তারুজ্জামান (গোলাপ ফুল) ৩৯, এম এ এইচ টুমু (উড়োজাহাজ) ১২, অর্থ সম্পাদক পদে শাহিনুর রহমান (কলস) ৪২ ভোট পান। আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে এবিএম মনজুর এলাহী খোকন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।