নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শিক্ষাদস্যু আখতারুজ্জামানসহ ৪ শিক্ষককের উত্তোলতি যাবতীয় বেতন ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গত ৩০ জুলাই’১৭ তারিখে এ নির্দেশ প্রদান করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের কলেজ পরির্দশক অমল কুমার বিশ্বাস। সূত্রে জানাগেছে, এড. আব্দুর রহমান কলেজে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্ত হন। এদের মধ্যে শিক্ষক সেলিনা সুলতানা সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্ত হন। এছাড়া নিয়োগকালে তার কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্স্টাসের সনদ জালিয়াতি করেন বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়। একইভাবে হুয়ামুন কবির ইসলামের ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরিসংখ্যানে, সুরাইয়া সুলতানা ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে এবং মোঃ শাহজাহান কবির ভূগোলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোলে এমপিওভুক্ত হন। আর কলেজের অধ্যক্ষ প্রাপ্যতাবিহীন পদে এসব শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন করেন। যে কারণে গত ৩ জুলাই কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানসহ ৪ শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থাগিত কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদান করে মন্ত্রণালয় এবং ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নোটিশের পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের কলেজ পরিদর্শক তাদের এযাবত গৃহিত উত্তোলিতহ বেতন ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজে সভাপতি বরাবর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু পত্র প্রদানের ৪৮দিন অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি কলেজ পিরচালনা পরিষদের সভাপতি মিসেস রিফাত আমিন এমপি। তিনি মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের আদেশ এর কোন তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। অবিলম্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা কার্যকর করে শিক্ষাদস্যু আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।