যশোর

যশোরে আইসিটির তদন্ত কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে বাধা, আটক ৩

By Daily Satkhira

September 20, 2017

যশোর প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খাঁন যশোরের বাঘারপাড়ায় তদন্ত কাজে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। সোমবার বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামের কুখ্যাত ‘রাজাকার’ আমজাদ মোল্যার মামলার তদন্তে গেলে সেখানে তাকে বাধা দেয়া হয়।

সন্ত্রাসী মহসীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাক্ষীদের সরকারি কাজে বাধা দান, মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে তিন জনকে আটকও করা হয়েছে।

বাঘারপাড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ ওয়াহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খাঁন বিপিএম (সেবা) পিপিএম বাঘারপাড়া প্রেমচারা গ্রামে রাজাকার আমজাদ মোল্যার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তার সঙ্গে দেখা করার জন্য মামলার বাদি ও সাক্ষীরা আসেন।

এদের মধ্যে শালিখার রজব আলী বিশ্বাস হত্যা মামলার বাদী খোকন বিশ্বাস ও তার ভাই আবুল বিশ্বাসকে মারপিট করেছে সন্ত্রাসী মহাসীন ও তার দোসররা- টেলিফোনে এমন সংবাদ পেয়ে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শরিফুল ইসলাম সেখানে যান এবং তাদের উদ্ধার করেন।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খাঁন নিজে বাদি হয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- প্রেমচারা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে মহাসীন বিশ্বাস, মৃত বারেক মোল্যার ছেলে সবুর হোসেন, দক্ষিণ চাঁদপুরের ফিরোজ হোসেনের ছেলে রহমান ওরফে ফাহাদ ও শালিখা উপজেলার ভরতপুর গ্রামের লুৎফর মোল্যা’র ছেলে রফিক মোল্যা। আসামিদের মধ্যে সবুর, ফাহাদ এবং রফিককে আটক করা হয়েছে। রাতে তাদের বাঘারপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আব্দুর রাজ্জাক খান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪ জন মানবতাবিরোধী আব্দুল খালেক মণ্ডল, আব্দুল্লাহিল বাকি, খান রোকনুজ্জামান ও জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলাগুলির তদন্ত কর্মকর্তা।