নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর মটর সাইকেল চালক সমিতির অফিসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৬০, তারিখ-২২.০৯.১৭। মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত কিনো গাজীর ছেলে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী, বৈচনা গ্রামের রজব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, গয়েশপুর গ্রামের কিনু সরদারের ছেলে সোহরাব হোসেন, শ্রীরামপুর গ্রামের মুধ’র ছেলে মন্টু, ভোমরা’র আকবর গাজীর ছেলে এরশাদ আলী, জিয়াদ আলীর ছেলে সুমন হোসেন, লহ্মদাড়ী গ্রামের মীর আলীর মুনসুর আলী, নবাতকাটি গ্রামের সুমন কলু, চৌবাড়িয়া গ্রামের আসমাতুল্লাহ’র ছেরে সিরাজুল ইসলাম, লহ্মীদাড়ী গ্রামের কেনা’র ছেলে খোকা ও পদ্মশাখরা গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর । মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোমরা স্থলবন্দর মটর সাইকেল চালক সমিতির অফিসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী ও তার পোষ্য বাহিনীর সদস্যরা ১৫/১৬ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সমিতির অফিস ভাংচুর করে। এ সময় তারা অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শীর্ষ পর্যায়ের আ’লীগ নেতাকর্মীদের ছবিও ভাংচুর করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা মটরসাইকেল চালক লহ্মদাড়ী গ্রামের মোমিনের ছেলে বাবুর আলী, আনারুল মোল্যার ছেলে তুহিন হোসেন, গয়েশপুর গ্রাামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে রাকিবকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তারা বলেন, এখানে আ’লীগের কোন অফিস থাকবে না। অফিস করার চেষ্টা করলে আবারো হামলা চালিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া মটরসাইকেল চালকদের জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায় তারা। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী জানান, আমি কোন অফিস ভাংচুর করিনি। আসল ঘটনা হল, তাদের এক মটরসাইকেল দর্ঘটনায় কবলিত হয়ে এক সাইকেল চালকের ৩টি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। মটরসাইকেল চালকদের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগন বার বার অনুরোধ করলেও তারা তাকে নিয়ে যাননি। যে কারণে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে ভাংচুর করে। এছাড়া সরকারি জমি দখল করে অফিস করার কারনে এ ঘটনাটি ঘটছে। তিনি জানান, মটরসাইকেল চালক কেলু আনারুলের হুকুমে ওই ছবিগুলো সভাপতি জাকির হোসেন নিজেই ভাংচুর করেছে। তিনি আরো জানান, জাকির হোসেন একাধিক নাশকতা মামলার আসামী। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিক জানান, এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।##
২৩.০৯.১৭