চার সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুগত এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা। এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮।
সংবাদমাধ্যমটি ঢাকার দুটি ও আন্তর্জাতিক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ২৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রস্তুতি নিয়েছিল পরিকল্পনাকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসএফের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সূত্র দিয়ে সংবাদমাধ্যমটিতে লেখা হয়েছে, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই হামলার পরিকল্পনা সমন্বয় করছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী জেএমবির জিহাদিরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের চারপাশে সিরিজ বোমার বিষ্ফোরণ ঘটাতো। ফলে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর মনোযোগ সেদিকে আকর্ষিত হতো। তখন হত্যাকারীর পালানোর পথ তৈরি হতো। এ পরিকল্পনাটি গ্রহণ করা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার ঘটনা থেকে।
পরিকল্পনাটি নস্যাৎ হয় ভারতীয় ও বাংলাদেশি জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্ত্বায়। ব্যাপারটি বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে তার অফিসের বাইরে থাকার পরামর্শ দেয় জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা। যেখানে একটি আন্তঃবলয় তৈরি করে তার বিশেষ অনুগতরা। তারপর তারা দুর্বৃত্তদের আটক করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদে অফিসে ফিরে আসার রাস্তা তৈরি করে।
সূত্র অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ১১তম ষড়যন্ত্র। সন্দেহভাজনদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচেছ।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ৬ থেকে ৭ জন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র নিচ্ছিল। এটি হতো একটি ‘ইনসাইড জব’। যার বাইরে থেকে তাদের সমর্থনে থাকতো জেএমবি।
প্রসঙ্গত, জেএমবি একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী। যারা বাংলাদেশে অনেক বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।