দেবহাটা

দেবহাটা সীমান্তে খারঘাট দিয়ে পাচার হচ্ছে ইলিশ আসছে মাদক

By Daily Satkhira

September 25, 2017

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইছামতি সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ইলিশ। ইলিশ চোরাচালানিরা দিনে দিনে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাছ বিক্রির পর ওই টাকা দিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। এতে করে একদিকে দেশের ইলিশ বাইরে চলে যাচ্ছে অন্যদিকে মাদকের প্রভাবে ধ্বংস হচ্ছে দেশের যুবসমাজ। বিজিবি অভিযান চালিয়ে মাঝে মধ্যে দু’একটি চালান আটক করলেও অধিকাংশ সময়ই চোরাচালানিরা রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয়রা জানান, প্রথমে ইলিশ মাছ পাচার হতো মোটর সাইকেল যোগে। এরপর শুরু হয় প্রাইভেটকার যোগে। বর্তমানে যাচ্ছে দেড় থেকে দুই টনি মিনি পিকআপ ভ্যানে। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বড় বাজার থেকে ইটাগাছা বাজার রোড হয়ে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ পাচার হচ্ছে। আরো জানাগেছে, ইছামতি নদীর সীমান্তবর্তী সোলপুরের খারঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ইলিশ এবং ভারতের হেমলগঞ্জ ঘাট দিয়ে চোরাই পথে আসছে মাদক। পূজাকে ঘিরে ভারত থেকে আসছে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কাপড়, থ্রি-পিচ, এ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাড়ি, কড়াই, জিরা, গোলা বারুদ, বাজি, গাড়ির টায়ার, মাছের পোনাসহ বিভিন্ন পণ্য। সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র টহল ও কঠোর নজরদারী থাকা সত্ত্বেও বিজিবি’র চোঁখ ফাকি দিয়ে রাতের আঁধারে চোরাকারবারী গডফাদার চক্র কালো বাজারী করছে। খারঘাট সীমান্ত চোরাঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন সেখানকার ঘাটমালিক ফারুক হোসেন, শাহাজান আলী, মাহবুব আলম খোকন ও সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েক জন ব্যক্তি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ভাই চোরাইভাবে ঘাট চলছে, বর্তমানে আমি ঘাট চালাচ্ছি না। তবে কারা ঘাট চালাচ্ছে আমি সঠিক বলতে পারবো না। এবিষয়ে সোলপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবে ১মাস এ ক্যাম্পে যোগদান করেছি। এ ধরনের কোন তথ্য আমার জানা নেই। চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। তাছাড়া এ ক্যাম্পে আমার যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছি। যার মধ্যে মাদকদ্রব্য বেশি। তবে সাম্প্রতিক ৫৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে চোরাচালান নির্মূল করা সম্ভব হবে।