সাতক্ষীরা

ভোমরায় শ্রমিক ইউনিয়ন দখলের পায়তারা

By daily satkhira

October 10, 2016

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোমরা স্থলবন্দরকে অস্থিতিশীল করতে একটি কুচক্রী মহল পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। যে কোন সময় বন্দরে ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বন্দরের শ্রমিকরা জানান, ভোমরা বন্দরকে অস্থিতিশীল করতে যারা এ পায়তারা চালাচ্ছে তারা কেউ বন্দরের শ্রমিক নন। তারা সকলেই বহিরাগত। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব যদি শ্রমিকদের হাতে না থাকে তাহলে শ্রমিকদের প্রকৃত অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে শ্রমিকরা দাবি করেন। শ্রমিকরা আরো জানান, বিগত ২০১৩ সালে জামাত-বিএনপির নাশকতার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও বিজিবি’র সিও এর বক্তব্য ছিলো। যদি বন্দর একদিনও বন্ধ হয় তাহলে বন্দরের সকল সংগঠনের নেতাদের কাছ থেকে তার সুস্পষ্ট জবাব নেওয়া হবে। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী তারপর পর থেকে শ্রমিকদের কারণে ১দিনের জন্য বন্ধ হয়নি বন্দর। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরের উপর সন্তোষ প্রকাশ করে শ্রমিকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। সিএণ্ডএফ এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে বন্দরের স্থাপিত ৮টি সংগঠন বিশেষ করে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের নিয়ে লাঠি হাতে করে বন্দর পাহারা দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে জামায়াত-বিএনপির একটি কুচক্রী মহল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এবিষয়ে ভোমরা হ্যাণ্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং১১৫৯) সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোমরা স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের কারণে কোনদিন পোর্ট বন্ধ হয়নি। অথচ কিছু ভূইফোঁড় নেতা শ্রমিক না হয়েও শ্রমিকদের নেতৃত্বে আসার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে বন্দরে শ্রমিকদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। সম্প্রীতি সদর থানা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম (রেজিঃ নং১১৫৯) শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে এসে বলেন, পূজা পর্যন্ত খেয়েনে। পূজার পরে তোদের ব্যবস্থা করা হবে। এখবর শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর শ্রমিকরা কামরুলকে খোজাখুজি করে না পেয়ে বন্দরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া কয়েকদিন পূর্বে বন্দরের ৮টি সংগঠনের যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সকলনেতৃবৃন্দ একমত হয়ে বলেন, যে কোন মূল্যে বহিরাগতদের প্রতিহত করা হবে। বন্দরে কোন রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলে একমত পোষণ করেন তারা। এঅবস্থা চলতে থাকলে যে কোন মুণ্ডর্তে বন্দরে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা রয়েছে।