সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য ম্যাচটি দুই দেশের জন্যই ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। টানা দুই জয়ে শিরোপার সুবাস পেতে থাকা বাংলাদেশের সামনে এদিন প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। জিতলেই শিরোপার আরও একধাপ কাছে চলে যেত বাংলাদেশ। রেস থেকে ছিটকে যেত নেপাল। এমন সমীকরণের ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে বসেছে বাংলাদেশের যুবারা। কঠিন করে তুলেছে শিরোপার স্বপ্ন।
সোমবার ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে লাল-সবুজদের বিপক্ষে ১-২ গোলে জয় পেয়েছে নেপালিরা। তবে হারলেও কাগজে-কলমে শিরোপা জয়ের সুযোগ থাকছে এখনও। সেক্ষেত্রে ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অলিখিত ফাইনাল হয়ে গেল। সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলের দিকেও। ২৭ তারিখে শেষ ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ।
নেপালের ম্যাচ শেষে এখন ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ চারটি দলের। শীর্ষস্থান থেকে বাংলাদেশ নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। নেপাল দ্বিতীয় ও চতুর্থ ভুটান। দিনের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারানো ভারত গোল পার্থক্যে শীর্ষে। কাগজে-কলমে তাই বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল— তিন দেশের সামনেই থাকছে শিরোপার সম্ভাবনা।
থিম্পুতে ম্যাচের ২২ মিনিটেই লিড নেয় নেপাল। গোল করেন অভিষেক রিজাল। সমতা ফেরাতে খুব একটা সময় নেয়নি জাফর-আল আমিনরা। ৩০ মিনিটেই গোল শোধ করে দেয় বাংলাদেশ। দারুণ এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান মোহাম্মদ আল-আমিন। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনও দলই।
সমতায় থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমানতালে আক্রমণ করতে থাকে দুদল। একাধিকবার গোলের কাছে গিয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছিল না। কিন্তু ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বাংলাদেশের বিশ্বনাথ ঘোষ লাল-কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে গেলে ধাক্কা খায় লাল-সবুজরা। পরে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের জালে দ্বিতীয়বার বল জড়িয়ে দেয় নেপাল।
খেলার তখন মিনিট দশেক বাকি। ম্যাচ ধীরে ধীরে যাচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। সে সময়ই কাজের কাজ করে ফেলে নেপালিরা। ৮০ মিনিটে দ্বিতীয়বার লিড নিয়ে ফেলে তারা। বাকি সময়ের অনেক চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।