জুলফিকার আলী: বাঁশদহায় হতদরিদ্র্যদের নামের তালিকায় অনিয়ম,ভিক্ষুকরা বঞ্চিত,তালিকায় চেয়ারম্যান মেম্বরদেরআত্মীয় স্বজন ও বিত্তবানরা!”শিরোনামে সাতক্ষীরার জনপ্রিয় পত্রিকা “দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা”পত্রিকায সংবাদ প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাফিজুর রহমান গতকাল হাওয়ালখালী ওয়ার্ডে যেয়ে সরোজমিনে তদন্ত করেন।এ সময় তিনি যেসকল বিত্তবানদের নাম হতদরিদ্র্যদের তালিকায় লিপিবদ্ধ ছিল তাদের বাড়িতে এবং অনেক হতদরিদ্র্য ব্যক্তি,যাদের হতদরিদ্র্যের তালিকায় নাম নেই তাদের বাড়িতে যেয়ে ও বাড়ির আশে পাশে যেয়ে খোজ খবর নেন।অনেক হতদরিদ্র্য ব্যক্তির সাথে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন।উল্লেখ্য যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনী ইশতেহার উনুযায়ী হতদরিদ্র্যদের মাঝে ১০ টাকা কেজি মুল্যে চাউল বিতরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং প্রতি ইউনিয়ন হতে হতদরিদ্র্যদের নামের তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয় স্ব স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের। গত ২০ জুলাই বাঁশদহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন ও উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১০৮২ টি কার্ডের বিপরীতে উপকারভোগীদের নামের যে তালিকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট প্রেরন করে,সেই তালিকায় অধিকাংশ বিত্তবান ও কোটিপতিদের নাম এবং চেয়ারম্যান মেম্বরদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।তদন্তের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁশদহা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান,ইউপি সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আমিনুর রহমান,আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজারুল ইসলাম,যুবলীগের সহ-সভাপতি অহেদ আলী, মেম্বর আরিজুল ইসলাম,মফিজুল ইসলাম,কামরুল ইসলাম,মোমেনা খাতুন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।