কালিগঞ্জ

প্রতিবন্ধি মেয়ের চিকিৎসার জন্য ১২ বছর ভিক্ষা করে চলেছেন অসহায় মা

By daily satkhira

October 10, 2016

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি কালিগঞ্জ:  বার বছর ধরে ভিক্ষা করে প্রতিবন্ধি মেয়ের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন অসহায় জাহানারা বেগম। নলতা থেকে কালিগঞ্জ বাস টার্মিনালে এসে প্রতিদিন প্রতিবন্ধি ১৩ বছরের ছোট মেয়ে খুকুমনিকে কোলে নিয়ে যাত্রীদের কাছে অসহায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে দেখা যায় জাহানারা বেগমকে। কেউ বা খুকুমনিকে দেখে পাঁচ-দশ টাকা সাহায্য করে আবার কেউ বা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় এমনটাই জানান প্রতিবন্ধী খুকুমনির মা। প্রতিবন্ধি মেয়েকে নিয়ে অনেক বড় বিপদে পরেছে খুকুমনির বাবা-মা। বাবা পূর্ব নলতা গ্রামের চায়ের দোকানদার মোঃ সাইফুল্লাহ। দোকানের সামান্য আয়ে দুই মেয়ে এবং সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয় তাকে। তারপরও প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে খুকুমনি না পারে কথা বলতে, না পাই কানে শুনতে। তারপরও হাতের ও পায়ের আঙ্গুল এক সাথে জোড়া লাগানো খুকুমনিকে  দেখলে মনে হয় ছয় বছরের বাচ্চা।এর পর ও সরকারি বা প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা আজও পায়নি খুকুমনির বাবা মা। এজন্য বাধ্য হয়ে  সকালে বাহির হয় সবার দুয়ারে হাত পাতার জন্য খুকুমনির প্রতিদিনের ্ঔষধ খরচ তিনশ টাকা যোগার করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধিদের জন্য এত সাহায্য সহযোগিতা করলেও আজও পৌছায়নি বুদ্ধি ও শারিরীক প্রতিবন্ধী খুকুমনির বাবা মার কাছে। খুকুমনিকে নিয়ে চিন্তার কোন অন্ত নেই পরিবারের সকলের। বাবা-মায়ের জমানো কোন টাকা নেই, আছে তিন শতক জমি বসবাসের জন্য,তারপর ও খুকুমনির চিকিৎসা  করনোর জন্য দরকার অনেক টাকা। কিভাবে করাবে মেয়ের চিকিৎসা কিভাবে যোগাড় করবে মেয়ের ঔষধ খরচ এমন চিন্তায় ভেঙে পরছে খুকুমনির বাবা-মা। খুকুমনির মা বলেন আমি বার বছর ধরে সবার কাছে সাহায্য চেয়ে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি আমার মেয়ে আগে হাটতে পারত না এই দুই বছর হাটতে পারছে।্্্্্ সরকারি কোন সাহয্য আজও আমরা পায়নি আমার মেয়ের যদি একটা প্রতিবন্ধি কার্ড ও থাকত তাহলেও আমি মেয়ের চিকিৎসার জন্য একটু হলেও সুবিধা পেতাম। সবার দুয়ারে ঘুরেও বার বছর ধরে আমার মেয়ের একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেলাম না।্্্্ আল্লাহ যানেন আমাদের মত গরিব অসহায় মানুষের উপর কোন ব্যাক্তির দয়া হবে কিনা আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাবে কিনা মেয়েটার চিকিৎসা কোন দিনও করাতে পারব কিনা।নাকি এমনই প্রতিদিন আমার মেয়ের জন্য মানুষের দুয়ারে সাহয্য চেয়ে চালাতে হবে আমার মেয়ের চিকিৎসা খরচ।