দেবহাটা

দেবহাটায় বাল্য বিবাহে কেড়ে নিল আশুরার জীবন

By Daily Satkhira

September 28, 2017

কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটায় বাল্যবিবাহ অকাল মৃত্যুর কাল হলো শিশু আশুরার(১৪)। সে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কোঁড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের কনিষ্ঠ কন্যা। সে ২০১৫ সালে এনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক স্থর পার করে। পরে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ঈদগাহ আমিনা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। চলতি বছরে মাধ্যমিক স্কুলের ৮ম শ্রেণি পড়তে পড়তে পরিবার তাকে বাল্যবিবাহে আবদ্ধ করে। পরিবার সূত্রে জানায়, গত প্রায় ৩ মাস আগে একই এলাকার আব্দুল খালের পুত্র ইউনুস আলী(২২) সাথে বিবাহ প্রদান করে। সংসার জীবনে প্রবেশের পর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় আশুরার। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক ভাগে বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে। এভাবে চলতে থাকে আশুরার জীবন। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় আশুরাকে। পর দিন স্বামী ইউনুস তাকে আনতে গেলে বুধবার নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। বুধবার পুনরায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসে আশুরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের চালের বাশের সাথে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এবিষয়ে আশুরার শ্বশুর আব্দুল খালেক বলেন, আমরা তাকে মেয়ের মত ভালোবাসতাম। কেনো গলায় রশি দিয়েছে তা আমরা জানি না। আশুরার পিতা আব্দুস সত্তার জানায়, ভালো সমন্ধ হওয়ায় গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয় আশুরাকে। ২দিন আগে আমার বাড়িতে মেয়ে আসলেও কোন কিছু বলেনি কাউকে। তাই মৃত্যুর কারণ বলতে পারছি না। এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন জানান, আতœহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক আইনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানায়, ইতোপূর্বে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামে জেসমিন নামের এক মেয়ে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে প্রায় ১৫ দিনের মাথায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ইউনুসের পূর্বের বিয়ে এবং আশুরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক চাপ সয্য করতে না পেরে আতœহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।