আশাশুনি

অপহরণের ৪ বছর; খোঁজ মেলেনি আশাশুনীর কলেজ ছাত্রী শতাব্দির

By Daily Satkhira

September 29, 2017

নিজস্ব প্রতিনিবেদক : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের অসহায় ফনিন্দ্র মন্ডলের কন্যা শতাব্দীকে অপহরণের ৪ বছর পরও কোন খোঁজ মেলেনি। তাছাড়া প্রতিপক্ষের একের পর এক হুমকী-ধামকীতে চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে ফনিন্দ্র ও তার পরিবার। ফনিন্দ্র মন্ডল জানান, বুধহাটা সুন্দরবন পরিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী শতাব্দী মন্ডলকে ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই ১ম বার অপহরণ করা হয়। সে ঘটনায় আদালতে জিআর- ১৫ তাং ১২/০৮/১৩ নং মামলা দায়ের করেন তিনি। অনেক চরাই উৎরাই শেষে আদালতের নির্দেশে শতাব্দিকে তার জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর তার বাড়িতে সন্ত্রাসী স্টাইলে আক্রমণ চালিয়ে পুনরায় শতাব্দীকে অপহরণ করা হয়। এনিয়ে আবার আশাশুনি থানায় মামলা করেন তিনি। মামলা নং-৮, তাং ১০/১১/১৩। তখন আসামীরা মেয়েকে জিম্মি করে বিভিন্ন কৌশলে বিয়ের সাজানো অভিনয় করিয়ে তাদের পক্ষে জবানবন্দি করিয়ে নেয়। এরপর তদানীন্তন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আকরাম তাকে ভুল বুঝিয়ে দু’টি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করেন বলে ফনিন্দ্র দাবি করেন। এরপর থেকে শতাব্দিকে অজ্ঞাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের ধারনা তাকে অপহরণের পর গুম বা পাচার করা হয়েছে। তিনি পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় ৩২/১৪ নং মামলা রুজু করেন। এতে পাচারকারী চক্রের কচুয়া গ্রামরে জ্ঞানেন্দ্র ঢালী, রবীন্দ্র ঢালী, নির্মল মন্ডল, মহানন্দ মন্ডল ও আগরদাড়ী গ্রামের অহেদ আলিকে আসামী করা হয়েছে। এরপর থেকে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ফনিন্দ্র ও তার পরিবারের উপর নানা ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে ফনিন্দ্র মন্ডল থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং- ৮৩৫, তাং ২৪/১/১৫) করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মামলা তুলে না নিলে তাদেরকে জীবনে শেষ করে দেওয়াসহ নানা হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। কোন কুল কিনারা না পেয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরে হৃদয় ছেড়া আকুতি জানিয়ে আবেদন করেছেন। দীর্ঘ সময়ে কন্যার খোঁজ না পেয়ে পাগল পারা পরিবারটি বিচারের আশায় ছুটে ফিরলেও নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।