খেলা

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে থামল ৩২০ রানে

By Daily Satkhira

September 30, 2017

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের চেয়ে ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামবে প্রোটিয়ারা। তামিম-মুশফিকেরদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না এলগার-মার্করামরা। প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করতে না পারলে এই টেস্টে বাংলাদেশের হারটা মোটামুটি অবশ্যম্ভাবীই বলা যায়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি, ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২৭ রান। তারা উইকেট হারায় তিনটি।

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভালোই খেলছিলেন তামিম ও মুমিনুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন তাঁরা। ৪৬তম ওভারে অভিষিক্ত ফেলুকায়োর বলটা তামিমের ব্যাটে লেগে জমা হয় কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ৩৯ রান করেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এরপর আবার প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৯ রান যোগ করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেননি মুমিনুল। কেশব মহারাজের বলে আউট হন তিনি।

এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহও। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু জুটিটা ভাঙেন অলিভেয়র। দলীয় ২৯২ রানে উইকেটের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া একটি বল টেনে আনতে গিয়ে বোল্ড হন সাব্বির। তখন তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩০ রান। অল্প কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান মরকেলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। তার আগে ৬৬ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার তিন রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২০ রানের বেশি করতে পারেননি সফরকারীরা।

এর আগে গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিকরা। রাবাদার বুলেট-গতির শর্ট বলে আউট হন ইমরুল। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন এইডেন মার্করাম। এরপর ভালোই খেলছিলেন লিটন দাস। দ্রুতই কয়েকটি চার মেরে ২৫ রানে পৌঁছে যান তিনি। তবে ১১তম ওভারে মরকেলের আউট সুইংগারে হাশিম আমলার কাছে ধরা পড়েন তিনি।

প্রোটিয়া পেসারদের দাপটে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন তাঁরা। তবে ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি মুশি। দলীয় রান যখন ১০৩, কেশব মহারাজের বলটাকে ভালোভাবে ঠেকাতে পারেননি তিনি। বলটা ব্যাটের কোনো ছুঁয়ে জমা হয় এইডেন মার্করামের হাতে। ৫৭ বলে ৪৪ রান করেন বাংলাদেশ দলপতি। এরপর তামিম ও মুমিনুল দিনের বাকি সময়টাতে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি।