বিনোদন ডেস্ক : শুরুটাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে। সদ্য সমাপ্ত মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণায় ভুল করেছেন ভারতীয় উপস্থাপিকা শিনা চৌহান।
গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শীর্ষ ১০ প্রতিযোগীর মধ্যে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে বিজয়ী ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আয়োজকরা জানান, তিনি হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ! পরে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে এরই মধ্যে। গতকাল অনেককেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে মত্ত থাকতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, উপস্থাপিকার মুখে নিজের নাম সেরা হিসেবে শুনে খুশি হয়েছিলেন হিমি। চীনে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে উঠবেন এটা ভেবেই যেন খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল তার মনে।
কিন্তুআনন্দ ছিল ক্ষণস্থায়ী। ভুল স্বীকার করে যখন উপস্থাপিকা আবার জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে চ্যাম্পিয়ন এবং হিমিকে দ্বিতীয় রানারআপ ঘোষণা করলেন তখন জোর করেই মুখে হাসি ধরে রেখেছিলেন হিমি।
এ ভুল প্রসঙ্গে গতকাল আয়োজক কর্তৃপক্ষ অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী গণমাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন। বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘আসলে দু’জনের নাম প্রায় একই হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। লাইভ টেলিকাস্টের কারণে আমরা হুট করেই জানতে পারি আমাদের হাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় রয়েছে। তখন তাড়াহুড়া করতে হয়েছে।
ভারতীয় উপস্থাপিকা শিনা ঠিকঠাক সব চালিয়ে নিলেও মূল নাম উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। এমন ভুল অস্কারের মতো আসরেও হয়। এরপরও আমরা এ ধরনের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সঙ্গে এও বলতে চাই এটাই চূড়ান্ত ফল, এখানে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’
কয়েকজন বিচারক গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুব অন্যায় হয়েছে। আমাদের সবার কাছে যে প্রথম হয়েছে, তাকে প্রথম করা হয়নি। যাকে প্রথম করা হয়েছে, সে আমাদের প্রথম তিনজনের তালিকায়ও ছিল না। যেহেতু এটা একটা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, তাই আমরা এমন একজন প্রতিযোগীকে বাছাই করতে চেয়েছি, যে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারবে। আমরা একবাক্যে জেসিকা ইসলামকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচিত করি। শুক্রবার রাতে যা ঘটল, তা আমাদের জীবনে খুব খারাপ একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল। এত বড় একটা অন্যায় এভাবে হবে, ভাবতেও পারিনি।
তারা বলেন, আয়োজকেরা যদি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তাহলে তো বিচারক হিসেবে আমাদের রাখার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নাম ঘোষণার ওই মুহূর্তে এত মানুষের সামনে আমরা আয়োজকদের অপমান করতে চাইনি। এখন মনে হচ্ছে, তখন আমাদের এই কাজটি করা উচিত ছিল।