আন্তর্জাতিক

‘স্বাধীনতার অধিকার আদায় করেছে কাতালানবাসী’

By Daily Satkhira

October 02, 2017

স্পেন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে দেশটির কাতালান অঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশি সহিংসতার মধ্যে শেষ হওয়া গণভোটে কাতালানবাসীর স্বাধীনতার অধিকার আদায় হয়েছে বলে দাবি করেছে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসিত সরকার।

স্থানীয় সময় রোববার স্পেন থেকে কাতালানের স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজন করে কাতালানের স্থানীয় সরকার। স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভোট শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয় পুলিশ। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কাতালানবাসীকে প্রবেশে বাধা দিতে মাঠে নামে দাঙ্গা পুলিশ। তাদের ছোড়া রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় আহত হয় অনেকে।

কাতালান সরকারের মুখপাত্র জরদি তুরুল বলেন, কাতালানে রোববার মোট ভোট দিয়েছেন ৫৩ লাখ। এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ব্যালট পেপার গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন।

তুরুল আরো বলেন, পুলিশি বাধা না এলে ভোটদাতার সংখ্যা আরো বেশি হতো। সহিংসতার কারণে কমপক্ষে সাত লাখ ৭০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

কাতালান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববারের পুলিশি সহিংসতায় কমপক্ষে ৮০০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দুই হাজার ৩০০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৯২টি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

কাতালানের প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইদেমন বলেন, ‘বাধার মুখেও কাতালানবাসী স্বাধীনতার অধিকার আদায় করেছে। আমরা সবকিছু জানার, সম্মান ও পরিচিতি পাওয়ার অধিকার আদায় করেছি।’

এদিকে রোববার রাতেই একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি একটি কথাই পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, আজ কাতালানে তাদের স্ব-স্বীকৃত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।’

কাতালান স্পেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্য। পাঁচ বছর ধরে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছিল তারা। এ দাবিতে গতকাল রোববার গণভোটের আয়োজন করে কাতালানের আঞ্চলিক সরকার। তবে স্পেন সরকার এই ভোট বন্ধের অঙ্গীকার করে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও এই ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে।

এত কিছুর পরও স্বাধীন কাতালানের জন্য ভোট দিতে আসেন কাতালানরা। ভোট শুরুর আগেই শুক্রবার থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোর দখল নিয়ে নেন স্বাধীন কাতালোনিয়ার সমর্থকরা। এসব ভোটকেন্দ্র খোলা রাখার জন্যই তাঁদের এ উদ্যোগ। কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্রের সামনে ট্রাক্টর বসিয়ে রাখেন কৃষকরা। যেন পুলিশ সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। আবার কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রের দরজা খুলে ফেলা হয়েছে, যাতে করে স্পেন সরকার এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে না পারে।