তালায় নাসরিন নাহার মুন্নি (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী মুসা গাজী (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাগমারা গ্রামের মৃতঃ আমিরুল গাজীর পুত্র। রোববার (১ অক্টোবর) বিকালে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্যা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই শাহাদাতুল আলম, এসআই আসাদুজ্জামান (মিন্টু), এএসআই (নিঃ) এনামুল হাসান, এএসআই মানিক মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহয়তায় তালা উপজেলার মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এদিকে রোববার ভোর রাতে বাগমারা গ্রামের বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটলে বেলা সাড়ে ১২ দিকে মারা যায় মুন্নি। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় মামলা হয়। সাতক্ষীরার সার্কেল এসপি মোঃ আতিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, এক সন্তানের জননী মুন্নি খাতুনকে প্রায় মারধর করত স্বামী মুসা গাজী। তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী মুসা প্রতিনিয়ত তাকে বাপের বাড়িতে চলে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। তা না হলে তাকে হত্যার হুমকি দিত। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটি হয়। এ সময় স্বামী মুসা গাজী স্ত্রীকে মারধর করে। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পাষন্ড স্বামী মুসা গাজী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফরহাদ জামিল বলেন, গৃহবধূর মুন্নি খাতুনের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। রোববার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ দিকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সে মারা যায়। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্যা জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ১, তাং- ০১/১০/১৭ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৪ (১)। পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে ঘাতক মুসা গাজী কে আটক করে।