সাতক্ষীরা

কার্ড পেয়েছে ইউপি সদস্যের ছেলে! ধুলিহরে ১০ টাকা কেজির চাউলের কার্ড বিতরণে চরম অনিয়ম

By Daily Satkhira

October 12, 2016

এম. বেলাল হোসাইন: ধুলিহর ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল পুত্র সাইফুল ইসলামও হতদরিদ্রদের চাউলের কার্ড পেয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রী’র উদ্দেশ্য  হতদরিদ্রদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো। কিন্তু এ ওয়ার্ডের হতদরিদ্ররা হয়েছেন বঞ্চিত। এ ওয়ার্ডের যাদের মধ্যে ১০ টাকা দরে চাউলের কার্ড বিতরণ করা হয়েছে তারা অনেকেই স্বচ্ছল। একই পরিবারের ৪/৫ সদস্যও পেয়েছেন এ কার্ড। এছাড়া ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদ আলীসহ এলাকার ধনী ব্যক্তিরা পেয়েছেন কার্ড। জানা গেছে, মেম্বর শফিকুলের ছেলে কার্ড পেয়েছেনÑ যার কার্ড নং ১৯৬, একই এলাকার ধনী পরিবারের কাদের সরদারের স্ত্রী শাহিদা খাতুন- কার্ড নং ২৫৪। একই পরিবারের ৪ জন শহিদুল ইসলাম, সাইদ, রহিমা, তানজিরা, বাকের সরদারের স্ত্রী আয়শা খাতুন। এছাড়াও কার্ড পেয়েছেন- নবাত আলীর পুত্র শহীদুল ইসলাম, আজারুল, হাবিবুর, মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে শাহাজাহান, হবিবর, মিন্টু সাহার স্ত্রী মিনতী রানী, তনিমা, নুরমান আলী ছেলে সোহরাব, আরশাদ, নাছির জামির পেয়েছেন কার্ড। এদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকই ধনী পরিবারের সন্তান। যারা এ কার্ড পাওয়ার যোগ্য না। কিন্তু ইউপি মেম্বর শফিকুল ইসলাম ও ডিলার খিজির সানা মিলে তাদেরকে কার্ড দিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এদিকে ডিলার খিজির সানা চাউল বিতরণে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহের ৩ দিন চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও তিনি বিতরণ করছেন প্রতিদিনই। তাছাড়া চাউলে ওজনে কমও দিচ্ছেন তিনি। এবিষয়ে প্রতিবাদ করে কমলা নামের এক মহিলাকে মিলের কাজ থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল। পরে অনুরোধ করে সে কাজে যোগ দিতে পেরেছে। অপরদিকে ১৬ বস্তা চাউল স্থানীয় চাতাল মালিক পবিত্র সাধু খাঁর মিলে রেখে ২৪ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। যে চাউল ক্রয় করেছেন বাবুরাম ঘোষ। এবিষয় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কার্ড বিতরণে কোন অনিয়ম করিনি। অনিয়ম করেননি তাহলে আপনার ছেলে কার্ড পেয়েছে কীভাবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আমি যদি অনিয়ম করে থাকি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন।” অন্যদিকে, ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “ইউনিয়নে কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে এমন কোন অভিযোগ কেউ করেনি। তবে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল ইসলাম তার ছেলেকে কার্ড দিয়েছেন এটা আমি শুনেছি। প্রকৃতার্থে সে সদস্য নির্বাচিত হলেও দরিদ্র মাছ বিক্রেতা মাত্র।”