আমলকী এমন একটি উপকারী ফল যা শারীরিক বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি রূপচর্চায়ও সমান প্রশংসার যোগ্য। প্রোটিন, মিনারেলস, কার্বহাইড্রেটস এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এবার আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আমলকীর কিছু গুণ এবং রূপচর্চায় এর ব্যবহার-
১। ত্বক উজ্জ্বল করেঃ আমলকী ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে দারুণ কাজে দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে একমাসের মধ্যেই ত্বকের পরিবর্তন হয় চোখে পরবে। এছাড়াও আমলকীর রস মুখে সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
২। ব্রণ দূর করেঃ আমলকীর রস প্রাকৃতিক উপায়ে রক্ত শোধন করতে পারে। ফলে ত্বকের যাবতীয় সমস্যাও দূর হতে সময় লাগে না। এছাড়াও আমলকীর রসের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগালে খুব দারুন উপকার পাওয়া যায়। এই মিশ্রণটি মুখে সারা রাত লাগিয়ে রেখে পরের দিন দিন ধুয়ে নিলে ব্রণ এবং অ্যাকনের মতো সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩। খুশকি দূর করতেঃ এক টেবিল চামচ আমলা পাউডার, ১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল, ১০ ফোঁটা নারিকেল তেল, ও ১ চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মেশান। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ব্রাশের সাহায্যে ভেজা চুলে লাগান। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। দূর হবে খুশকি।
৪। কোলাজেনের ঘাটতি দূর করেঃ আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের অন্দরে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি করে, সেই সঙ্গে ত্বকে স্থিতিস্থাপক গুণ বৃদ্ধি করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক ফর্সা হতে শুরু করে।
৫। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ আমলকীর রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে মুখের কালো ছোপ ভাব দূর হয়। শুধু তাই নয়, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মিশ্রন খুবই উপকারি ভূমিকা নেয়।