বিনোদন

চলচ্চিত্রকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভূক্ত করার দাবী

By Daily Satkhira

October 07, 2017

চলচ্চিত্র সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়। যদিও এটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তবে চলচ্চিত্রকে নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবসময়ই ভেবেছে। এর জন্য নিয়মের মধ্যে থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিরাও প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় শুক্রবার ছুটির দিনে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী। উৎসবের উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাইদুল আনাম টুটুল, মুশফিকুর রহমান গুলজার ও শিল্পকলা একাডেমীর সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

চলচ্চিত্রকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনার দাবী তোলেন ‘আধিয়ার’ খ্যাত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। অনুষ্ঠানের সভাপতিও অনেকটা একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকলে মানানসই হত। পরে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে এসে ‘আয়নাবাজি’ নির্মাতা অমিতাভ রেজা চলচ্চিত্র সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, চলচ্চিত্র তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও এর মানোন্নয়নে নানা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। আমরা ভালো ছবির দর্শক তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চাই। তিনি বলেন, এ বছর রবীন্দ্রনাথের গল্পভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দিয়েছিলাম। যদিও দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ তার সদব্যবহার করেনি। তবে আমরা অনুদান বন্ধ করবোনা তবে পর্যবেক্ষণ জোরালো করব। পাশাপাশি আরো দুটি চলচ্চিত্রকে অনুদানের আওতায় আনা ছাড়াও প্রথমবারের মত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়ার চিন্তা করছি।

উৎসবের প্রথম দিনে রিয়াজুল রিজু পরিচালিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কোপ প্রদর্শিত হয়। উদ্বোধনী ও সমাপনী দিন ছাড়া প্রতিদিন ৩ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প সংস্কৃতি’ শীর্ষক উৎসবে ৭ সদস্যের বাছাই কমিটির মাধ্যমে ৫টি বিভাগে যথাক্রমে- বাংলাদেশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালিন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) এবং নারী নির্মাতাদের ৪৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। জমাকৃত সমকালিন চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) থেকে ১১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য চুড়ান্ত করা হয়। এই ১১টি চলচ্চিত্র থেকে ৩টি বিভাগে পুরষ্কার দেওয়া হবে। বিভাগগুলো হল শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, নির্মাতা ও বিশেষ জুড়ি পুরষ্কার। জুরি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকের।

উৎসবে যেসব ছবি দেখানো হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘অরুনোদয়ের অগ্নিস্বাক্ষী’, ‘আয়নাবাজি’, ‘রীনা ব্রাউন’, ‘সূর্যস্নান’ ‘রংবাজ’, ‘শোভনের স্বাধীণতা’ প্রভৃতি।