দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ম্যাচটাও নিজেদের পক্ষে নিতে শুরু করেছে ফাফ দু প্লেসিসের দল। প্রথম ইনিংসে চার উইকেটে ৫৭৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। এইডেন মার্করাম ১৪৩, ফাফ ডু প্লেসি ১৩৫, হাশিম আমলা ১৩২ ও ডিন এলগার করেন ১১৩ রান।
প্রথম দিন শেষের পরই মুখ গোমড়া করে ছিল ব্লুমফন্টেইনের আকাশ। যার প্রভাবে দ্বিতীয় দিনের সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায়। বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায়নি। এদিন মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছে টাইগার বোলাররা। ব্যক্তিগত ১৩২ রানে শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন হাশিম আমলা। আজ তিন উইকেটে ৪২৮ রান দিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন হাশিম আমলা ও দু প্লেসি। প্রথম সেশনেই শতক তুলে নেন তাঁরা। মধ্যাহ্নভোজের পর হাশিম আমলা ফিরলেও ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এ ছাড়া ২৭ বলে ২৮ রান করেন কুইন্টন ডি কক।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শুভাশীষ তিনটি ও রুবেল হোসেন এক উইকেট নেন।
ম্যাচের প্রথম দিনটিও বাংলাদেশের জন্য ছিল হতাশার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। দুই ওপেনার ডিন এলগার ও এইডেন মার্করাম করেছেন দারুণ দুটি সেঞ্চুরি।
তাই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে আরো বড় সংগ্রহ দাঁড় করাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল। চলমান এই টেস্টে কেমন করবেন মুশফিকরা, সেটা সময়ই বলে দেবে।
ব্যাটিংয়ে নেমেই মুশফিকের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন ডিন এলগার ও এইডেন মার্করাম। প্রথম উইকেটের জন্য প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডিন এলগারকে ফেরান শুভাশীষ রায়। ৫৪তম ওভারের চতুর্থ ওভারে এলগারকে মুস্তাফিজের তালুবন্দি করেন তিনি। প্রোটিয়াদের রান তখন ২৪৩। এলগার করেন ১১৩ রান।
এরপর আমলাকে নিয়ে এগুতে থাকেন মার্করাম। তবে জুটিটা বড় হতে দেননি রুবেল হোসেন। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে মার্করামের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি মিস করা মার্করাম ১৪৩ রান করে বিদায় নেন।
খানিক বাদে টেম্বা বাভুমাকেও ফেরান শুভাশীষ। উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মাত্র সাত রান করেন তিনি। দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪০ রান তুলে নিয়ে সফরকারীদের আবার খাদের কিনারে ঠেলে দেন হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসিস।