নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়ার মৃত বিশ্বনাথ দাশের প্রথম পক্ষের ছেলে বিপ্লব কুমার দাশের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার সৎ মা রিনা রানী দাশ। শনিবার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এব্যাপরে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি সহয়তা দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে রিনা রানী দাশ বলেন, আমার স্বামী বিশ্বনাথ দাশের প্রথম স্ত্রী প্যারালাইসিসে অক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী থাকায় ১৯৯৪ সালে ধর্মীয় বিধান মতে আমাকে বিয়ে করেন। এসময় স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বিপ্লব কুমার দাশ নামের ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। বিয়ের পর থেকেই বিপ্লব ও তার অসুস্থ মায়ের সেবা যতœ করে সংসারটিকে আগলিয়ে রাখি। স্বামীর সাথে সংসার করাকালীন আমার গর্ভে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তার নাম রাহুল কুমার দাশ। আমার সতিনের অসুস্থ্যতা ও স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বড় ছেলে বিপ্লব কুমার দাশ নেশাগ্রস্ত হয়ে নানবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। সংশোধনের জন্য কয়েক দফা তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে বের হয়ে পুনরায় সে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। যে কারনে তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার এহেন কর্মকা-ের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আমার স্বামী বিশ্বনাথ দাশ আতœহত্যা করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ না যেতেই বিপ্লব আমাকে ও আমার ছেলেকে এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর পর থেকে আমি ছেলেকে নিয়ে অতি কষ্টে ভাড়া বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছি। স্বামীর মৃত্যুর দেড় বছরের মধ্যে বিপ্লর কুমার দাশ ওয়ারেশ সূত্রে তার প্রাপ্যের সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়। বর্তমানে সে আমার ছেলে রাহুল কুমার দাশের প্রাপ্য অংশ আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেকারে বিপ্লব আমার ও আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে অসত্য, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায়। যার ফলে আমি সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। বর্তমানে আমি ও আমার ছেলে রাহুল সতিনের ছেলে বিপ্লব কুমার দাশের দ্বারা বিভিন্ন প্রকার ক্ষয় ক্ষতিসহ জীবননাশের আশংকা করছি। তিনি এব্যপারে যাতে আইনগত ও আদালতের সহযোগিতা পেতে পারেন সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।